ডেস্ক: ভারতীয় রুপির বিপরীতে বাংলাদেশী টাকার মূল্য বেড়ে তা এখন ছুঁইছুঁই অবস্থা। বুধবার ভারতীয় দৈনিক আজকাল বলেছে, গত ৩৬ বছরের মধ্যে প্রথমবার ভারতীয় টাকাকে প্রায় ধরে ফেলার অবস্থায় পৌছে গেছে বাংলাদেশি টাকা। সুতরাং ভারতীয় মুদ্রার তুলনায় বাংলাদেশী অর্থনীতি আরো তেজি হয়ে উঠেছে। ওই খবরে বলা হয়, ভারতীয় অর্থনীতি এমনিতেই এখন নেটিজেনদের মূল চর্চার বিষয়। তার মাঝে স্থানীয় স্তরে উঠে এসেছে বাংলাদেশের তুলনায় ভারতীয় টাকার মূল্যের কথা। ২৭শে আগস্ট ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল ৮৬ রুপি। ২৮ তারিখ অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়ে ১০০ বাংলাদেশি টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ৮৫ ভারতীয় রুপি। যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ। স্বাভাবিকভাবে, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ ভারতের বড় বড় শহরের শপিং মলে বাংলাদেশিদের কেনাকাটাও বেড়েছে।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, এই সময়ে ভারতে পাচার হয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। বেড়েছে চোরাচালানও। আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারতে রুপির মান নিম্নমুখী হতে শুরু করে। ফলে রুপির বিপরীতে টাকার মূল্যমান বাড়তে থাকে। ডলারের দাম বৃদ্ধি ও সংকট, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিসহ ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে রুপির এই দরপতনে টাকার মর্যাদা বেড়েছে।
আজকাল অনলাইনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশি মুদ্রা ১০০ টাকায় সমান সমান ভারতীয় ১০০ রুপি পাওয়া যেত। এরপর টাকার মান কমতে থাকে। একপর্যায়ে তা রুপির চেয়ে অর্ধেকেরও কমে এসে দাঁড়ায়। কিন্তু তারপর থেকেই ভারতীয় অর্থনীতির অবনমনের ফলেই আজ এই দিন দেখতে হচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার নিজের কোষাগারে নিয়েছে। এখন প্রশ্ন, ড্যামেজ কন্ট্রোলের এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় অর্থনীতি আদৌ চাঙ্গা হবে, নাকি আরও সংকটের মুখে পড়বে দেশ।
২০১৮ সালের ৪ঠা অক্টোবর এক পর্যায়ে ১০০ রুপির দাম কমে হয়েছিল ১১৩ টাকা। এ বিষয়ে ১১ মাস আগে অর্থনীতিবিদ এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছিলেন, রুপির অবমূল্যায়ন ঘটায় ডলারের বিপরীতে মুদ্রাটির মানও কমেছে। ফলে ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে কিছুটা সুবিধা হলেও রপ্তানিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এর মানে বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে পণ্য রপ্তানি করেন তারা কিছুটা প্রতিযোগিতায় পড়বেন। কারণ রপ্তানি পণ্যের দাম বেড়ে গেলে চাহিদা কমবে।