ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, গণহত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার দায়ে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার মো. আব্দুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৭ মঙ্গলবার) বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আসামির উপস্থিতিতে মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর ঋষিকেশ ও জাহিদ ইমাম। আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
গত ৮ জুলাই রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন ট্রাইব্যুনাল। ৪ জুলাই এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়ে সর্বশেষ ৮ জুলাই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষের পর রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়।
আসামির বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) প্রসিকিউশনের আনা ১৫ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেন। অন্যদিকে, আসামির পক্ষে কোনো সাফাই (ডিফেন্স) সাক্ষী ছিল না।
মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চলাকালে নাশকতার অন্য এক মামলায় গ্রেপ্তার হন সামাদ। ২০১৭ সালে ২৪ জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ৮ জুলাই থেকে ট্রাইব্যুনালে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে মামলাটি। এর আগে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে।
মামলাটির বিষয়ে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি তদন্ত সংস্থার ব্রিফিংয়ে বলা হয়, পুঠিয়ার বাঁশবাড়ী এলাকার মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মো. আব্দুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁ যুদ্ধের আগে মুসলিম লীগ সমর্থক ছিলেন। যুদ্ধের সময় জামায়াতের সমর্থক হিসেবে শান্তি কমিটির স্থানীয় নেতার নেতৃত্বে মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হন।
আসামির বিরুদ্ধে ১৫ জনকে হত্যা, ২১ জনকে নির্যাতন, বাড়িঘর লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংস করার পাঁচটি অভিযোগ আনা হয় প্রতিবেদনে।