কেউ কারো কথা শুনে না। সরকার ও প্রজাতন্ত্রের মধ্যে তেমন সমন্বয় আছে বলে মনে হচ্ছে না। নির্বাহী বিভাগের সকল আদেশ যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলেই উচ্চ আদালত প্রায়ই সরকারের কর্মকান্ড সম্পর্কে সাংবিধানিক দিক নির্দেশনা দিচ্ছে। মহামান্য উচ্চ আদালতের ঘন ঘন সাংবিধানিক দিক-নির্দেশনা বলে দেয়, কাজ ঠিক মত হচ্ছে না। জনগনকে ঠিকমত সেবা দিতে পারছে না সরকার। জনগনের ভোটাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সফলতা প্রজাতন্ত্রের নিজের বলে প্রতিষ্ঠিত ভেবে কর্মচারীদের মধ্যে প্রায়ই অনৈতিকতা চলে আসছে। ইতোমধ্যে ছোট বড় সরকারী কর্মচারীদের মধ্যে বেশ কিছু জঘনতম ঘটনা ঘটে গেছে। এর মধ্যে অনিতকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এমনকি আজ গণপিটুনি সংক্রান্ত জনস্বার্থে করা একটি রিটের রিটকারী আইনজীবী বলেছেন, সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্র বা সরকার ব্যক্তির নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই গ্রাউন্ডে আমরা রিটটি করেছিলাম। আদালত রুলসহ অন্তবর্তী আদেশ দিয়েছেন।
বর্তমানে উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মচারী পর্যন্ত খারাপ কাজে অভিযুক্ত হচ্ছে। প্রতিটি সেক্টরে দূর্নীতি প্রবেশ করছে ধীরে ধীরে। এমনকি যারা অপরাধ নিয়ন্ত্রন করবে তাদের মধ্যে অনেকেই অপরাধে জড়িয়েও যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনজন বিচারপতিও দূর্নীতি করেছেন মর্মে তদন্ত চলছে।
ফলে রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায় থেকে তৃনমূল পর্যায় পর্যন্ত দূনীতি ও অনিয়ম ছড়িয়ে পড়ছে। ডেঙ্গু রোগের মত সংক্রমিত হওয়া খারাপ কাজগুলো এ ভাবে ছড়িয়ে গেলে দেশ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে যাবে। তাই সরকারের উচিত সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়ে রাষ্ট্রকে সঠিক পথে পরিচালিত করার ব্যবস্থা করা। না হয় হতভাগা জনগনের চেয়ে বেশী ক্ষতির সম্মুখীন হবে সরকার। কারণ জনগন নীরবে ক্ষমতা দেয় বা জনগনের ক্ষমতা নিয়ে যাওয়া হয়, আর এই ক্ষমতা নিয়ে চলে সরকার। সরকার যতই জনগনকে অবহেলা করুক না কেন জনগনকে পুঁজি করেই ক্ষমতা ভোগ করতে হয়। জনগন বার বার মরে গেলেও সরকারকে কিছু বলে না। আবার অনেক সরকারই জনগনের লাশের বিনিময়ে ক্ষমতায় আসে। রাষ্ট্রের মালিক জনগনকে সেবা করার জন্য গঠিত সরকার জনগনকে মেরে ফেললেও জনগন নীরবে চলে যায় অসহায়ের মত।
তাই সরকারের উচিত, জনগনের অধিকারকে প্রাধান্য দিয়ে সরকার পরিচালনা করা। না হয়, মরার আবার মরা কিসের!, এই কথাটাই জনগনের সান্তনা হয়ে থাকবে সব সময়।