ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির হাতে মার খেয়েছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতা। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ্কে গ্রেপ্তারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে হামলার শিকার নেতাদের সমর্থকরা।
রোববার রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সদর উপজেলার ঘাটুরা এলাকার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। অবরোধের কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস ফিল্ডের একটি ঠিকাদারি কাজ পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শাহরুল, সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন খন্দকার ও সহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুরসহ আরও কয়েকজন। তারা অভিযোগ করেন, এই কাজ শুরু করার আগেই তাদের কাছে চাঁদা দাবি করেন মাসুম বিল্লাহ্। চাঁদা না দিলে কাজ করতে দেয়া হবে না বলেও হুমকি দেয়া হয় তাদের।
বিষয়টি নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় ঘাটুরা এলাকায় মহসিন খন্দকারের বাড়িতে বৈঠকে বসার কথা ছিল। ওই বৈঠকে মাসুম বিল্লাহ্ ও তার সহযোগিরা হামলা চালিয়ে কাজী শাহরুল ও মহসিন খন্দকারকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এর প্রতিবাদে কাজী শাহরুল ও মহসিন খন্দকারের কর্মী-সমর্থকরা রাত ৮টার দিকে মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়ার পর রাত ৯টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুর সাংবাদিকদের জানান, কাজী শাহরুল বৈঠকে ঢুকামাত্র মাসুম বিল্লাহ্ তার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। আমাদের দবি, একটাই মাসুম বিল্লাহ্কে গ্রেপ্তার ও তার অস্ত্র উদ্ধার করা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবির বলেন, বিক্ষোভের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আমরা শুনেছি, কাজী শাহরুল ও মহসিন খন্দকারের ওপর মাসুম বিল্লাহ্ আক্রমণ করেছে। কিন্তু কি কারণে করেছে সেটি জানতে পারিনি।