বিশ্বকাপ আয়োজন করা তো দূরের কথা, ফুটবলের মহাযজ্ঞে খেলার সৌভাগ্য হয়নি বাংলাদেশের। সম্প্রতি এ দেশের ফুটবলে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। বিশ্বের দরবারে আয়োজক হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে লাল-সবুজের দেশটি।
শুরুটা বছর দুয়েক আগের। বিশ্বকাপে নিয়মিত খেলা দুটি দল আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়ার মধ্যকার একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির মতো বিশ্বসেরা তারকার আগমন ঘটেছিল।
এ ছাড়া সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও এশিয়ার সেরা জাপান এ দেশে খেলতে এসে দারুণ আতিথেয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশের আয়োজকদের প্রশংসার বাণে ভাসিয়েছেন তাদের কোচ, খেলোয়াড় ও কর্তারা।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়ার মধ্যকার ম্যাচটি আয়োজন করতে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছিল কলকাতার সিলিব্রেটি ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ (সিএমজি)। এবার তারা ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (আইএসএল) আদলে বাংলাদেশেও ফুটবল লিগ আয়োজনে এগিয়ে এসেছে।
সিএমজির নির্বাহী পরিচালক ভাস্বর গোস্বামী ইতিমধ্যে এ বিষয়ে বাফুফেকে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। শুধু তাই নয়, আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনাকে লিগের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন সিএমজির নির্বাহী পরিচালক ভাস্বর গোস্বামী। আগামী ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সিএমজি। এরপরই হয়তো চূড়ান্ত ফল পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে ভাস্বর গোস্বামী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের কাছে দিয়েগো ম্যারাডোনার বিষয়ে প্রস্তাব রেখেছি আমি। মজার বিষয় হচ্ছে, বিষয়টি বেশ ভালোভাবেই নিয়েছেন তিনি।’
বাংলাদেশে দিয়েগো ম্যারাডোনার অনেক ভক্ত রয়েছেন। তাকে আনতে পারলে এ দেশের ফুটবলের চিত্র পাল্টে যাবে বলে মনে করেন ভাস্বর।
প্রাথমিক প্রস্তাবে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত লিগে আটটি দল থাকবে। প্রত্যেকটি দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবে লাতিন আমেরিকা ও ইউরোপের নামিদামি ক্লাব। আর এসব ক্লাবের দায়িত্বে থাকবেন বিশ্বের নন্দিত কোচরা।