বর্তমানে পৃথিবীর সব দেশেই হাজার হাজার শিশু-তরুণী-মহিলা যৌন হেনস্থার শিকার হন তবে ভারতে এর সংখ্যাটা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বিশেষত, বাচ্চা মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ভারতে অত্যন্ত বেশি। ঘরের মধ্যেই তারা সুরক্ষিত নয়। কখনও ‘পাশের বাড়ির কাকু’, কখনও বা নিজের জন্মদাতা, কার কার কাছে তারা প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত হচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। তবুও এদের সচেতন করা নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। কলকাতার জনপ্রিয় পত্রিকা এই সময়ের প্রতিবেদন।
স্কুলেই তাই যৌন শিক্ষার ক্লাস চালু করা নিয়ে এক সময় জোর দেওয়া হয়েছিল। তবে এ নিয়ে দেশজুড়ে নানা মুণির নানা মত শোনা গিয়েছে। কেউ এটা ‘ভারতীয় সংস্কৃতির বিরোধী’ বলেছেন, তো কেউ এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যখন শিশুরা যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছে, এঁরা তখন আবার সহানুভুতিশীল হয়েছেন। যখন কোনো তরুণী বা মহিলা ধর্ষিতা হন, এঁরাই তখন আবার তাঁদের পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে ময়নাতদন্ত করেছেন। এঁদের মোমবাতি হাতে নিয়ে ধর্ষণবিরোধী মিছিলেও দেখা যায়। কিন্তু কীভাবে ছোট থেকেই পড়ুয়াদের ‘সেক্স’ সম্পর্কে সচেতন করা যায়, তা নিয়ে এঁদের ‘বাণী’ শোনা যায় না।
দেশজুড়ে ‘সেক্স’ শব্দটি যেন অপাংক্তেয়। যেন উচ্চারণ করা কোনো অপরাধ। এই ‘মহান’ ব্যক্তিবর্গের বোঝা উচিত, আজকের কিশোর-কিশোরী মধ্যযুগে পড়ে নেই। স্মার্ট ফোন থেকে ল্যাপটপের একটা ক্লিকে তাদের চোখের সামনে যেকোনো বিষয়ের ওপর হাজারখানেক পেজ নিমেষে খুলে যায়। তবুও তাদের প্রকৃতভাবে শিক্ষিত করার প্রয়োজন রয়েছে। ভীষণ প্রয়োজন রয়েছে।
এটা নিয়েই একটি অসাধারণ ভিডিও বানিয়েছেন স্বপন বর্মা। হাসির ছলে দেশের গুরুতর এই সমস্যা নিয়ে তিনি সকলকে নাড়া দিতে চেয়েছেন।