শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকার দুর্ঘটনার জন্য নৌ মন্ত্রণালয়কে দায়ী করেছিল পরিবেশ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এবার তার জবাব দিয়েছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। তারা অভিযোগ করেছে, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কারণেই সুন্দরবন ধ্বংস হচ্ছে। একই সঙ্গে ট্যাংকার-ডুবি নিয়ে গণমাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে নৌ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।
বুধবার সংসদ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তালুকদার আব্দুল খালেক। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম। কমিটির সদস্য মন্ত্রী মো. শাজাহান খান, তালুকদার আব্দুল খালেক, মো. হাবিবর রহমান, রণজিৎ কুমার রায় ও মো. আনোয়ারুল আজীম (আনার) এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
কমিটির বৈঠকে ঘষিয়াখালী-মংলা চ্যানেলের খননকাজ দ্রুত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে শ্যালা নদীর পরিবর্তে এই নৌ রুট চালু করার সম্ভব হবে বলে কমিটি আশা করছে।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, “ট্যাংকার-ডুবি ও তেল ছড়িয়ে পড়ার পর নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয় যথাযথ কার্যক্রম নেয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু আমি তো মনে করি, সুন্দরবন ধ্বংসের জন্য বন মন্ত্রণালয়ই বেশি দায়ী। তারা সুন্দরবনের সুন্দরী গাছ কেটে শেষ করে ফেলেছে।”
তালুকদার আব্দুল খালেক আরো বলেন, “সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে ছোট বড় ৫ হাজারের বেশি নদ-নদী রয়েছে। এসব নদ-নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরা হয়। পরিবেশ মন্ত্রণালয় তখন কী করে? আর তেলের ট্যাংকার-ডুবির পর আমরা না হয় যথাযথ কার্যক্রম নেয়নি, কিন্তু তারা কী করেছে?”