ডেস্ক: ভূমধ্যসাগরে আটকা পড়ে আছেন ৫০৭ জন অভিবাসী। তাদেরকে গ্রহণ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংগঠন ইউএনএইচসিআর। আগস্টের শুরু থেকে ভূমধ্যসাগরে আটকা পড়ে আছেন তারা। এর মধ্যে কোন কোন দেশের নাগরিক আছেন তা নিশ্চিত করে জানা যায় নি। এ খবর দিয়েছে তুরস্কের অনলাইন আনাডোলু।
মঙ্গলবার ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে বলেছে, এদের অনেকেই লিবিয়ায় মারাত্মক নির্যাতন থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষ। এ ছাড়া আছেন শরণার্থী তৈরি হচ্ছে যেসব দেশ থেকে সেখানকার মানুষ। তাদের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। এরই মধ্যে অনেকে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পাওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন।
মধ্য ভূমধ্যসাগর বিষয়ক ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত ভিনসেন্ট কোচেটেল বলেছেন, এটা হলো সময়ের বিরুদ্ধে একটি প্রতিযোগিতা। সামনেই ঝড় সমাগত। এ অবস্থায় এসব অভিবাসীর অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। লিবিয়ায় যুদ্ধ ও সহিংসতা থেকে পালাতে যেসব মানুষ দেশ ছেড়েছেন এবং এই উত্তাল সময়ে সমুদ্রের মধ্যে রয়েছেন তাদের সামনে দুর্ভোগের পর দুর্ভোগ আসতে পারে। তাদেরকে অবিলম্বে নোঙ্গর করতে দেয়া উচিত এবং খুব বেশি প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা পাওয়া উচিত।
ইউএনএইচসিআর বিবৃতিতে বলেছে, মধ্য ভূমধ্যসাগরে যে রুটে অবৈধ উপায়ে অভিবাসীরা পাড়ি দেয় সেখানে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান বৃদ্ধি করা উচিত। এক্ষেত্রে স্পেনের এনজিও মালিকানাধীন জাহাজ প্রোঅ্যাকটিভ ওপেন আর্মস অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে নিজেদের নিয়োজিত করেছে। আগস্টের শুরুতে তারা ১৫১ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। ভাইকিং সাগর থেকে সম্প্রতি উদ্ধার করা হয়েছে ৩৫৬ জনকে। এতে জড়িত ছিল ফরাসি এনজিও এসওএস মেডিটরেনি এবং ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শুরু থেকে সমুদ্রপথে ইউরোপে গিয়েছেন মোট ৩৯ হাজার ২৮৯ জন অবৈধ অভিবাসী ও শরণার্থী। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) মতে, সমুদ্রে এ সময়ে মারা গেছেন ৮৪০ জন। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে মারা গেছেন ৩০ হাজার ৫০০ অভিবাসী।