আল জাজিরার রিপোর্ট কাশ্মীরে দমনপীড়নের পক্ষে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়

Slider সারাবিশ্ব


ডেস্ক:কাশ্মীরে দমনপীড়ন অব্যাহত রাখার পক্ষে রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। কাশ্মীর থেকে কঠোর বিধিনিষেধ অবিলম্বে প্রত্যাহার বিষয়ক এক আবেদনের পর্যালোচনায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, ওই অঞ্চলে নিরাপত্তায় দমনপীড়ন ও যোগাযোগ বন্ধ রাখা অব্যাহত থাকা উচিত। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ এ বিষয়ে বলেছেন, কাশ্মীর পরিস্থিতি ‘সেনসিটিভ’। এ অবস্থা মোকাবিলা করতে সরকারের আরো সময় প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টে এটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল বলেছেন, পরিস্থিতি গতিময় এবং প্রতিদিনই তা পরিবর্তিত হচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি এবং ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করছি। এতে বেশ কিছু দিন অথবা মাসও লেগে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন ভেনুগোপাল। ফলে ওই বিধিনিষেধ কতদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে তা অনিশ্চিত।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।

ওদিকে ভারত শাসিত কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগর কাঁটা তার ও স্টিলের ব্যারিকেড দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আকাশে টহল দিচ্ছে ড্রোন ও হেলিকপ্টার। কাশ্মীর উপত্যকার প্রায় ৪০ লাখ অধিবাসীকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তাদের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর সেখানে এমন কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। স্থানীয় অধিবাসীরা বলছেন, তারা এর আগে এমন পরিস্থিতি কখনো দেখেননি। খুব ঘন ঘন প্রবেশ পথ ও বহির্গমন পথ পরিবর্তন করায় শহরবাসী নিজেদের দেখতে পাচ্ছেন বিচলিত অবস্থায়। ঘন ঘন শহরের ম্যাপ পরিবর্তন করা হচ্ছে। সেখানকার অধিবাসী জমির আহমেদ বার্তা সংস্থা এপি’কে বলেছেন, আমাদের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে ও অনুগত করতে পুরো শ্রীনগর শহরকে কাঁটাতারে ঘিরে ফেলা হয়েছে।

মঙ্গলবার নবম দিনের মতো নিরাপত্তা বেষ্টনিতে অবরুদ্ধ ছিল কাশ্মীর। গত ৫ই আগস্ট তাদের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মানুষকে মঙ্গলবার নবম দিনের মতো নিজেদেরকে ঘরের মধ্যে আবদ্ধ রাখতে হয়েছে। এ অবস্থায় প্রায় অব্যাহত কারফিউ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রাখার কারণে অধিবাসীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফুরিয়ে যাচ্ছে। এই অবরুদ্ধ অবস্থা কমপক্ষে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলতে পারে। কারণ, ওইদিন ভারতের স্বাধীনতা দিবস।

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্র টুইট করেছেন ভারত সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে। এতে তিনি বলেছেন, যে প্রক্রিয়ায় অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করা হয়েছে তা পুরোপুরি অসাংবিধানিক এবং গণতন্ত্রের সব মৌলিক নীতিবিরোধী। এমন কিছু যখন করা হয়, তখন অনুসরণ করার মতো আইন আছে। এক্ষেত্রে তা অনুসরণ করা হয় নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *