ঢাকা: আজ সোমবার বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো জম্মু ও কাশ্মীরেও পবিত্র ঈদুল আজহা। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সেকানকার জনসাধারণকে বলা হয়েছে, ঈদের দিন মসজিদে গিয়ে প্রার্থনা করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তবে ঈদ উপলক্ষে প্রকাশ্যে কোনো বড় জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
মসজিদে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও গত শুক্রবার থেকে কাশ্মীরে কোনো বড় জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেই নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল।
গতকাল রবিবার সকালে একটি ভারতীয় চ্যানেল দাবি করে, শ্রীনগরের রাস্তায় মাইক লাগানো পুলিশ ভ্যান থেকে জনসাধারণকে বাড়ি ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। দোকানদারদের বলা হয়, দোকানপাট বন্ধ করতে।
ঈদের আগে সেখানে ফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা তোলার বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি প্রশাসন। শুধু বলা হয়েছে, মোবাইল ও ল্যান্ডফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দ্রুত তুলে নেওয়া হবে। ওইদিন জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন জানায়, ঈদে প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ৩০০ ফোন বুথ চালু করা হয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, এখন সরকারের মূল লক্ষ্য শান্তি বজায় রাখা এবং গুজব ও ভুল খবর ছড়াতে না দেওয়া। ঈদে মসজিদের প্রার্থনায় যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তাঁর দাবি, কাশ্মীরের কোথাও অশান্তির খবর নেই। রবিবার দোকানপাট খোলা ছিল। কেনাকাটাও হয়েছে। খাবারদাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ চালু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি, বাড়ি বাড়ি জিনিস পৌঁছানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘মানুষের অসুবিধা কমানোর চেষ্টা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব ফোনের ওপর নিষেধজ্ঞা তোলা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে।’
শ্রীনগরের জেলা প্রশাসক টুইটে লেখেন, ২৫০টির বেশি এটিএম চালু রয়েছে। ব্যাংক খুলেছে। ঈদ উপলক্ষে অগ্রিম বেতনও দেওয়া হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিং এবং মুখ্য সচিব সুব্রহ্মণ্যমের দাবি, গত এক সপ্তাহে কোনো অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। গুলি চালনার খবর সাজানো ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
শুক্রবারই সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীনগরের সৌরায় বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ও ছররা গুলি ছোড়ে পুলিশ। আতঙ্কে কয়েকজন নারী ও শিশু পানিতে ঝাঁপ দেন। তবে বিবৃতি দিয়ে ওই খবর অস্বীকার করে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।