ডেস্ক: ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সভাপতির পদে দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য পড়ে আছে। গত লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে ব্যাপক ব্যবধানে হারার পর নিজের কাঁধে দোষ নিয়ে সভাপতির পদ থেকে সরে যান রাহুল গান্ধী। জানিয়েছেন, দলে থাকলেও, সভাপতি থাকবেন না। তার জায়গাইয় কে হবে নতুন সভাপতি তা নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক মহলে বেশক’দিন থেকেই জল্পনা চলছে। তবে সে জল্পনার অবসান ঘটতে যাচ্ছে শনিবার। নতুন সভাপতি নির্বাচিত করতে বৈঠকে বসেছে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি। এত বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন না রাহুল বা সোনিয়া গান্ধী। দূর থেকেই পর্যবেক্ষণ করছেন পুরো প্রক্রিয়া।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ১১টা থেকে বৈঠক শুরু হয়েছে।
সকালেই দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছে যান দলটির দুই শীর্ষ নেতা সোনিয়া-রাহুল। তবে বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন না কেউই। দলের নেতারা রাহুলকে পদত্যাগ না করার আর্জি জানিয়েছিল বহুবার। কেউ কেউ অনশনও ঘোষণা করেছিল তার সিদ্ধান্ত পাল্টানোর জন্য। তবে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন রাহুল। কংগ্রেসের নেতৃত্ব থেকে গান্ধী পরিবারের প্রভাব কমাতেও এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তার পদত্যাগের পর তিন মাস কেটে গেছে। রাহুল জানিয়ে দিয়েছেন, গান্ধী পরিবারের কেউ কংগ্রেসের নেতৃত্ব দিক তিনি তা চান না। সনিয়া গান্ধী আরো এক ধাপ এগিয়ে জানিয়েছেন, সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় তিনি বা রাহুল প্রত্যক্ষভাবে অংশও নিতে পারবেন না, কারণ তারা দু’জনেই পরপর সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন।
শুক্রবার সভাপতি নির্বাচনের বৈঠকের আগেই, শুক্রবার দলের প্রতিনিধিত্ব করা মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ, রাজ্য সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। প্রত্যেককে এই বৈঠকে থাকতেও অনুরোধ করেন তিনি। এ বৈঠকে সারাদেশ থেকে যোগ দিয়েছেন প্রায় ৪০০ কংগ্রেস নেতা। বৈঠকে উপস্থিত প্রতিনিধিদের পাঁচটি উপ-কমিটিতে ভেঙে দেয়া হয়েছে- উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব।
নতুন সভাপতি হিসেবে রাজনৈতিক মহলের জল্পনায় ওঠে আসছে একাধিক নাম। তার মধ্যে মল্লিকার্জুন খড়েগ ও মুকুল ওয়াসনিককেই সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহও দায়িত্ব পেতে পারেন বলে গুঞ্জন শোনা গেছে। এনডিভি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ৯টায় সিদ্ধান্ত দেবে কমিটি। এরপর নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে।