রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের বিলম্ব রীতিমতো শিডিউল বিপর্যয়ে পৌঁছেছে। গতকাল শুক্রবার টাঙ্গাইলে সুন্দরবন এক্সপ্রেস লাইনচুত্যের ঘটনা থেকে এ শিডিউল বিপর্যয় আরো বেড়ে গেছে। এতে ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মূলত বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেনগুলো শিডিউল বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারছে না।
আজ শনিবার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে আগেই জানানো হয়েছে, বেশকিছু ট্রেন বিলম্বে কমলাপুর ছাড়বে। এক ঘণ্টা থেকে শুরু করে আট ঘণ্টারও বেশি বিলম্বে গন্তব্যে ছাড়বে এসব ট্রেন। কোনো কোনো ট্রেন এর চেয়েও বিলম্বে ছাড়ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে চলাচলকারী পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেনগুলো শিডিউল বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারছে না ঈদের আগে, এমনটাই নিশ্চিত করা হয়েছে রেল সূত্রে। রেলমন্ত্রী গতকাল জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু সেতুতে সিঙ্গেল লাইন থাকায় নতুন রেল সেতু তৈরি না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি খুব একটা পাল্টাবে না।
বিলম্বে ছাড়লেও ট্রেনযাত্রীরা বাড়তি ভিড়ের কারণে রেলগাড়িতে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকেই টিকিট কেটে ট্রেনের ভেতর ঢুকতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন। বাড়তি ভিড়ের কারণে কমলাপুর স্টেশন থেকেই ট্রেনের ছাদে উঠে পড়ছেন অনেক যাত্রী। রেল সূত্র জানিয়েছে, যাত্রীদের ছাদে ওঠার নিয়ম না থাকলেও তারা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না ছাদের যাত্রীদের।
এদিকে ট্রেন ছাড়তে দীর্ঘ সময় দেরি হওয়ার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন রেলপথে ঘরমুখো হাজারো মানুষ।
আজ শনিবার সকালে কমলাপুর স্টেশনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে হাজার হাজার মানুষকে। স্টেশন থেকে জানানো হয়েছে, রাজশাহীগামী ৭৬৯ নং ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৬টার পরিবর্তে বেলা ১টার দিকে কমলাপুর ছেড়ে যাবে। ৭২৬ নং সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন ৫ঘন্টা বিলম্বে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কমলাপুর ছেড়ে যেতে পারে। ৭৬৫ নং নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন ৮টার পরিবর্তে বিকেল ৪টায় ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছে। ৭৭১ নং রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৮ ঘণ্টা বিলম্বে আনুমানিক বিকেল ৫টায় গন্তব্য ছেড়ে যাবে। লালমনিরহাট ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি ১০ঘণ্টা বিলম্বে আনুমানিক সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ছেড়ে যাবে। আরো কয়েকটি ট্রেন দেরি করবে বলে জানিয়েছে রেল সূত্র।