ঢাকা: ঈদযাত্রার শুরুতেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৪০ কি.মি রাস্তায় ধীরে ধীরে চলছে গাড়ি । গত মধ্যরাত থেকে এ রাস্তায় প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়, যা আজও অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত রাতে উত্তরবঙ্গগামী গাড়ীর চাপ এবং ঢাকাগামী পশুর ট্রাকসহ নানা যানবাহন বেড়ে যাওয়ায় মধ্যরাত থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া মহাসড়কের পুংলি, এলেঙ্গা ও রাবনা বাইপাস এলাকায় দুর্ঘটনায় গাড়ি বিকল হয়ে যানজট আরো তীব্র আকার ধারন করেছে। তবে যানজট নিরসনে জেলা পুলিশের ৭ শতাধিক সদস্য কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাজধানীর সব বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীর ঢল নেমেছে। ঈদুল আজহার আগে সর্বশেষ কর্মদিবস শেষে গতকাল বিকেল থেকে এই ভিড় ছিল উপচে পড়া। অপেক্ষার প্রহর গুনে, প্রচণ্ড ভিড় ঠেলে বাসে, ট্রেনে উঠতে হয়েছে বাড়ি ফেরা মানুষকে। সদরঘাটে রাতের লঞ্চ ধরতে ভিড় উপচে পড়ছিল বিকেল থেকেই।
গাবতলী বাস টার্মিনালে গতকাল দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন পরিবহনের বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীর সংখ্যা প্রচুর। বৈরী আবহাওয়া ও তুমুল বৃষ্টিতে বাইপাইল, সাভারসহ বিভিন্ন স্থানে তীব্র যানজটে ফিরতি বাস আটকে ছিল।
শুধু মহাসড়কেই নয়, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলস্টেশনে যেতে বাসা থেকে রওনা হয়ে মিরপুর-১, মিরপুর-১২, পল্লবী, কালশী, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রচণ্ড যানজটে আটকা পড়ে যাত্রীরা। অনেকে গণপরিবহন না পেয়ে হেঁটেই গন্তব্যে ছুটতে থাকে।
মহাখালী, সায়েদাবাদ ও ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় সকাল থেকেই। এসব টার্মিনালে পৌঁছতে যাত্রীদের রীতিমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে অনেককে।