ঢাকা: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ৪৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২। পরে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত সবাইকে ছয় মাসের জন্য কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার তাদের গাজীপুরের কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
রাজধানীর উত্তরা, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, মিরপুর, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় কিশোরদের পৃথক গ্যাং রয়েছে। তারা নিজেরাই নানা ধরনের নাম দিয়েছে এসব গ্যাংয়ের। সম্প্রতি ঢাকার কিশোর গ্যাং নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় সমকালে। এর পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ধরতে মরিয়া হয়ে ওঠে। গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে শুরু করে বিশেষ অভিযান। বুধবার রাতে কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, কলেজগেট, শিশুমেলা, শ্যামলী ও মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ৪৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব। তাদের ১১ জনকে মোহাম্মদপুর রায়েরবাজার এলাকায় ছিনতাইয়ের সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হলো- সাগর, মানিক, অন্তর, নয়ন, শিপন, সুজন, রাব্বি, বাবু, নাজমুল, রাসেল, হোসেন, ইমন, রফিক, রুবেল, সোহেল, আলম, বাদশা, রবিন, হোসেন, সুমন, জাফর, রিয়াদ হোসেন, ফরিদ, শাবজল হক, শেখ ফরিদ, আরিফ, রাহাত হোসেন, নাঈম, জসিম, রনি রায়, খোরশেদ আলম, আরিফ, মনির, মেরাজ, আকাশ, দ্বীন মোহাম্মদ, হাসান, রাকিব, সাব্বির, হৃদয়, দিপু হাসান, শাকিল, রাজিব, জাহিদ হাসান, শাহিন ও হাসান।
অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে নানা ধরনের অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। দোষী প্রমাণ হওয়ায় তাদের ছয় মাসের জন্য গাজীপুরের কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব-২-এর এক কর্মকর্তা জানান, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গ্রেফতার হওয়া কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মানুষের ব্যাগ, মোবাইল ফোনসেট, ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিত। এ ছাড়া মাদক সেবন, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল তারা। তাদের কাছ থেকে কিশোর গ্যাংয়ের আরও কিছু সদস্যের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে। কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।