ষ্টাফ করেসপন্ডেন্ট
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
ঢাকা: বিহারীদের জন্য বরাদ্দকৃত জমি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা ও বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার থেকে বস্তিবাসীদের বিদ্যুৎ সংযোগে বাধা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিরপুরে কালশীর ঘটনা ঘটিয়েছে একটি বিশেষ মহল। এই বিশেষ মহলকে সরাসরি সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী রাজনীতিক।
ওয়েলফেয়ার মিশন অব বিহারী এর চেয়ারম্যান ও অবাঙালিদের সংগঠন ইউসিবিএস এর প্রধান উপদেষ্টা মোস্তাক আহমেদ শনিবার দুপুরে কুর্মিটোলা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন।
মোস্তাক আহমেদ বলেন, প্রতিবছর একসঙ্গে বাঙালি ও অবাঙালি একইসঙ্গে শবে বরাত উদযাপন করে আসছে। কখনো আতশবাজি ফোটানো বা অন্য কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধ বাধেনি।
তিনি বলেন, একটি দু’টি নয়, দশটি ঘরে আগুন দিলেও দশজন মানুষ পুড়ে মরার কথা নয়। তিনটি পরিবারের তিনটি ঘরে তালাবব্ধ করে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটায় বিশেষ মহলটি।
তিনি আরো বলেন, বিহারীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য প্রভাবশালীদের লেলিয়ে দেওয়া ওই চক্রটি পরিকল্পিতভাবে আতশবাজি ফোটানোর ঘটনা সাজায়। এরপর ফজরের নামাজ শেষে মানুষ ঘুমিয়ে পড়ার পর পরিকল্পিকতভাবে এ ঘটনা ঘটায়।
তিনি বিহারী ক্যাম্পের এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
এর আগে রাজধানীর পল্লবী এলাকার কালশীতে শনিবার ভোরে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়।
এদের মধ্যে সাতজনই একই পরিবারের বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা। তবে এ নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। দুই পরিবার মিলিয়ে ৭ জন মৃত্যুর দাবিও করছেন কেউ কেউ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) মিরপুর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইমতিয়াজ আহমেদ ১০ জন নিহতের কথা নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের মধ্যে শিশু ও নারী রয়েছে।