ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও গাবতলী এলাকায় পৃথক অগ্নি দুর্ঘটটনায় সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। উভয় দুর্ঘটনাই চুলার আগুন থেকে ঘটে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জে গ্যাসের চুলা থেকে আগুন লেগে তিন ভাই-বোন দগ্ধ হয়েছেন। গাবতলীতে স্টোভের চুলা থেকে বস্তিতে আগুন লেগে দগ্ধ হয়েছেন আরও চারজন।
এ দুই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক।
তিনি জানান, কেরানীগঞ্জের পার গেণ্ডারিয়ার ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে। আর গাবতলীর ঘটনা বুধবার রাতের।
কেরানীগঞ্জে দগ্ধ তিনজন হলেন- মো. শাহীন (৩৫), তাসলিমা আক্তার (১৫) ও আছিয়া (১৭)। তারা গেণ্ডারিয়া এলাকার হোসেন শেখের ছেলে মেয়ে।
গাবতলীতে দগ্ধ চারজন হলেন- শান্তা (২০), তার মেয়ে বৃষ্টি আক্তার (৩), রুবেল (১২) ও আব্দুল গনি (৪৩)। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা ব্রজেন কুমার সরকার জানান, কেরানীগঞ্জে আগুনের ঘটনায় কেউ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেননি। তবে ঘটনার পর অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান।
“টিনশেড ওই ঘরে সারা রাত গ্যাসের চুলা খোলা ছিল। ভোরে আগুন জ্বালাতে গেলে পুরো ঘরে আগুন লেগে তিন ভাই-বোন দগ্ধ হয়।”
তবে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলছেন, গ্যাসের পাইপে ছিদ্র থাকায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
তিনি বলেন, “গ্যাসের পাইপে ছিদ্র থাকায় আগেও দুইবার ওই বাড়িতে আগুন লেগেছে।”
গাবতলীর ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসকে কাজ করতে হয়নি বলে ব্রজেন কুমার জানান।
পরিদর্শক মোজাম্মেল জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাবতলীর দ্বীপনগরের ওই বস্তি ঘরে স্টোভের চুলা থেকে আগুন লাগে।
“দগ্ধ চারজনের মধ্যে শান্তার শরীরের ৯৫ শতাংশ ও রুবেলের ৫৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। দগ্ধ বাকি দুজনের শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়েছে।”