ডেস্ক: ভারত সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার প্রতিবাদ হিসেবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি)। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক স¤পর্ক সীমিত করে দেয়া ও সকল ধরণের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত। দ্য ডন এর খবরে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে কাশ্মীরকে সাংবিধানিকভাবে দেয়া বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে ভারত। এতে করে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেছেন, কাশ্মীরবাসীর জন্য যেকোনো মাত্রায় যেতে রাজি রয়েছে পাক সেনাবাহিনী। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, এতে নতুন করে উত্তেজনা বেড়েছে। ফের যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর পাকিস্তানে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পার্লামেন্টে ডাকা হয় যৌথ অধিবেশন।
তাতে নিন্দা প্রস্তাব পেশ করা হয়। এরপর বুধবার ডাকা হয় এনএসসির উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ইমরান খান। তাতে ভারতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়। বলা হয়, দুই পক্ষের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বন্ধ করতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া এ বিষয়ে জাতিসংঘের কাছে সহযোগিতা চাওয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া, কমিটি জানায়, তারা আগামী ১৪ই আগস্ট কাশ্মীরিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হবে পাকিস্তানে।
এক বিবৃতিতে কমিটি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সকল কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে ভারতের জাতিবিদ্বেষি সরকারের কৌশল ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মুখোশ উন্মোচন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া, নয়া দিল্লীতে নিয়োজিত পাক রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ও ইসলামাবাদে নিয়োজিত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের নির্দেশও দিয়েছেন ইমরান খান।