ঢাকা: মানুষ অপরাধ করে। আর এই অপরাধের বিচার নিশ্চিত করার কাজটি করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। আইনীভাবে সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হল থানা ও কারাগার। সরকারী হেফাজতে থাকা যে কোন নাগরিকের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। কিন্তু যদি এই সরকারী নিরাপদ স্থানে গণধর্ষনের ঘটনা ঘটে তবে মানুষ বিচার পাবে কোথায়! পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে , নিরাপরাধ মানুষকে অপরাধী সাজিয়ে কারাগারে প্রেরণ কারার। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে, মাদক দিয়ে মানুষকে হয়রানী করার। এমন হলে যারা মাদক ব্যবসায়ী তাদের বিচার হবে কি ভাবে! পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, পুলিশ ভোট পাহারা দিবে। যদি পুলিশ নিজেই জাল ভোট দেয় তবে সঠিক ভোট হবে কি ভাবে? পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে মানুষকে নিরাপত্তা দেয়ার পরিবর্তে নিরপত্তা বিঘ্নিত করারও। সব মিলিয়ে পুলিশ সঠিক অপরাধ নিরুপন করার ক্ষেত্রে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতেও কাজ করে এমন অভিযোগ অহঃরহ। তবে পুলিশের বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ গুলো বিচ্ছিন্ন। প্রকৃত অর্থে পুলিশ ভাল কাজ করে বেশী। তবে মন্দ কাজের মাত্রা এত জঘন্য হয় যে, তখন আর ভাল কাজগুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না।
পরিস্থিতি বিচেবচনায় এটা স্বীকার করতে আমরা বাধ্য যে, রাজনীতিবিদদের প্রয়োজনে ক্ষমতার কারণে পুলিশ তথা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সব ক্ষেত্রে রাজনীতিকীকরণ করার কারণেই এই ধরণের জঘন্যতম ঘটনার বার বার জন্ম হয়। ১৯৯৫ সালে বিএনপির আমলে দিনাজপুরে ইয়াসমিনকে গণধর্ষন করেছিল পুলিশ। এরপর বেশ কিছু ঘটনা ঘটলেও এবার হল ওসির রুমে ওসি সহ ৫ পুলিশের গণধর্ষনের ঘটনা। নিঃসন্দেহে ইটি লজ্জ্বাজনক ও জঘন্যতম ঘৃনাজনকও বটে ।
ক্ষমতার প্রয়োজনে পুলিশকে ব্যবহার করার কারণে যদি পুলিশের সাহস বেড়ে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তবে এই ধরণের ঘটনা প্রতিরোধে রাজনীতিবিদদেরই উচিত হবে পুলিশকে সামাল দেয়া।
জাতি আশা করে, সরকার ও রাজনীতিবিদদের যৌথ প্রচেষ্টায় এই ধরণের পৈশাচিক ঘটনা প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা করা উচিত।