রাজশাহী: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আয়োজেন গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধণ অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী জেলা কৃষক দলের আয়োজনে নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বন্যা কবলিত কৃষকদের কৃষিঋন মওকুফের দাবীতে মানববন্ধন হয়। মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দ রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালক বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেন। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা কৃষক দলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদ ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন। মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট হাসিবুল।
এছাড়াও কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সুলতান আহম্মেদ, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবার আলী জ্যাকি, নাহিন আহম্মেদ, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম কুসুম ও যুগ্ম সম্পাদক আরেফিন কনকসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশব্যাপি ডেঙ্গু ও বন্যা মহামারী আকার ধারণ করেছে। অথচ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নাই। সরকারী দল কোথাও এখনো ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে নাই। আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী কেন দেশের বাহিরে যেয়ে বসে আছেন তা কেউ জানেন না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডেঙ্গুর ভয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলো। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দুই মেয়র সম্পূর্ণ ব্যর্থ। নেতৃবৃন্দ এই এই সকল অযোগ্য নেতা ও সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবী করেন। তারা বলেন, কৃষক একবার ধান চাষ করে ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে পড়েন। আবার বন্যা এসে তাদের সকল স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছে। কৃষকের খতা চিন্তা করে দেশের বন্যাকবলীত সকল জেলার কৃষকদের কৃষিঋন মওকুফের দাবী জানান।
প্রধান অতিথি বলেন, দেশের উন্নয়ন করতে হলে কৃষির কোন বিকল্প নাই। কৃষিকে বাঁচাতে হলে কৃষককে আগে বাঁচাতে হবে। কৃষক বাঁচলে দেশ এবং দেশের জনগণ বাঁচবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কৃষিতে ভূর্তকী এবং আপদকালীন সময়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা কৃষিঋন ও সতের হাজার কোটি টাকা সুদ মওকুফ করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এই সরকার কৃষিবান্ধব সরকার নয়। কৃষক যখন সব হারিয়ে সর্বশান্ত তখন ব্যাংকগুলো কৃষি ঋন উত্তোলনের জন্য পাঁয়তারা শুরু করেছে এবং কৃষককে চাপ প্রয়োগ শুরু করেছে। অথচ দেশের মহারথীরা হাজার হাজার কোটি টাকা ঋন নিয়ে বাড়ি গাড়ি করে আরাম আয়েসে জীবন অতিবিাহিত করলেও তাদের বিরুদ্ধে এই সরকার ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিতে পারছেনা। অবৈধভাবে ক্ষমতায় আশার জন্যই বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী, এমপি ও মন্ত্রীর কথা কেউ শোনেনা বলে জানান তিনি। কৃষকের ঋন এবং সুদের টাকা মওকুফ করে নতুন করে কৃষি ঋন প্রদান করার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও এই সরকারে নিকট দাবী জানান। দাবী না মানলে আগামীতে কৃষকদের ন্যায্য দাবী আদায়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারী দেন মিনু। সেইসাথে বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সকল একতাবদ্ধভাবে রাজপথে থকাার আহবান জানান তিনি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি