ঢাকা: ঢাকার গুলশান থেকে অপহৃত মোহনা টেলিভিশনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মুশফিকু রহমানকে সুনামগঞ্জের গৌবিনপুর গ্রাম থেকে আজ ভোরে উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ও উদ্ধারকারীরা জানায়, ভোরে গৌবিনপুর গ্রামের সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করে দৌঁড়াচ্ছিলেন মুশফিক। এ সময় গ্রামের মসজিদের ইমাম তাকে আশ্রয় দিয়ে এলাকাবাসী ও সদর থানার পুলিশকে খবর দেন। পরে সদর থানার এসআই জিন্নাতুল ইসলাম ও মোহনা টেলিভিশনের স্থানীয় প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস তাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান। সাংবাদিক মুশফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান বলেন, ৩রা আগস্ট গুলশান গোল চত্বরের একটি হোটেলে তার মামার সঙ্গে নাস্তা খান। এরপর মিরপুরে নিজের বাসায় যাওয়ার জন্য বাসে ওঠেন। কিন্তু বাসে ওঠার পর তিনি বুঝতে পারেন যে, বাসটি মিরপুরের নয়। একপর্যায়ে বাসের লোকজন তার মুখে পানি জাতীয় কিছু স্প্রে করে। এরপর তিনি আর কিছু বলতে পারেন নি।
জ্ঞান ফিরলে মুশফিক বুঝতে পারেন, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা তাকে অনেক মারপিট করেছে। মারপিটের একপর্যায়ে গুলি করে হত্যা করার হুমকি দেয়। পানি খেতে চাইলে অপহরণকারীরা তাকে পানি খেতে দেয়নি। গত কয়েক দিনে তাকে কেক ও পেয়ারা খেতে দেয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই মো. জিন্নাতুল ইসলাম বলেন, মুশফিকুর রহমানকে গৌবিনপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে যে, তাকে কেউ অপহরণ করে এনে এখানে ফেলে রেখে গেছে।