ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নিজের অধিকার খর্বের অভিযোগ তুলে ইউনোট পাঠিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার কাছে। তাতে তিনি বলেছেন, কমিশন সভায় তিনি কাঞ্চন পৌরসভা নিয়ে যা বলেছেন, তা সভার কার্যবিবরণীতে স্থান পায়নি। মাহবুব তালুকদার ১ আগস্ট সিইসির কাছে এই ইউনোট পাঠান।
চিঠিতে মাহবুব তালুকদার লিখেছেন, ‘গত ২১ জুলাই আমি নির্বাচন কমিশনের ৫০তম সভায় উপস্থিত ছিলাম। ওই সভায় আমি নারায়ণগঞ্জের “কাঞ্চন” পৌরসভার শান্তিপ্রিয় জনগণের নামে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের প্রতি কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। তাতে এলাকার জনগণ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, ভীতিমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। ওই নির্বাচনটি যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়, সে সম্পর্কে আমি কমিশন সভায় বক্তব্য রাখি।’
মাহবুব তালুকদার আরও লেখেন, ‘সভার কার্যবিবরণীর খসড়া আমার কাছে পেশ করার পর তাতে আমার বক্তব্য না থাকায় আমি নথিতে লিখি, “আমি রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে বক্তব্য রেখেছিলাম। বিষয়টি কার্যবিবরণীভুক্ত করে পুনরায় পেশ করা যেতে পারে।” এই বলে নথিটি আমি সচিবের নিকট ফেরত পাঠাই। কিন্তু সচিব আমার নিকট পুনরায় নথি পেশ না করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছ থেকে কার্যবিবরণীটি অনুমোদন করিয়ে নেন। আমার কাছে বিষয়টি আইনসিদ্ধ বলে মনে হয়নি। এতে আমার অধিকার খর্ব করা হয়েছে।’
অধিকার খর্বের লিখিত অভিযোগে মাহবুব তালুকদার লেখেন, ‘নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমার বক্তব্য কার্যবিবরণীতে লিপিবদ্ধ না করার যদি কোনো সংগত কারণ থাকে, তা আমাকে অবহিত করার প্রয়োজন ছিল। ইতিপূর্বে কমিশন সভায় বক্তব্য পেশের জন্য আমাকে লিখিতভাবে অনুরোধ জানিয়েও পরে তা পেশ করতে দেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন সভায় আমার উপস্থাপিত বক্তব্য যদি কার্যবিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত না করা হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন সভায় আমার উপস্থিতির কোনো আবশ্যকতা থাকে না। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে একটি খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুব তালুকদার কোনো মন্তব্য করেননি।
ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. আলমগীর বলেন, যা হয়েছে তা কমিশনের সিদ্ধান্তেই হয়েছে। সিইসি দেশের বাইরে থেকে ফেরার পর ইউনোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।