ইন্দোনেশিয়া থেকে এসেছে ২৬টি নতুন রেলকোচ। গতকাল শুক্রবারই চট্টগ্রাম বন্দরে এসব কোচ জাহাজ থেকে খালাস করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মিটারগেজের ৫৫ আসনের পাঁচটি এসি চেয়ার কোচ, ৬৬ আসনের ১৬টি শোভন চেয়ার কোচ, ১৭ বার্থে ৩৪ আসনের দুটি এসি স্লিপার কোচ, একটি পাওয়ার কার ও দুটি ডাইনিং কার। বিভাগীয় শহর রংপুরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ভালো ট্রেন না থাকায় ঢাকা-রংপুর রুটে এ কোচগুলো দিয়ে নতুন ট্রেন চালু করা হবে বলে আগেই রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন।
পানামার পতাকাবাহী ‘এমভি হোসি ক্রাউন’ নামের জাহাজে করে রেলের নতুন কোচগুলো আমদানি করা হয়। গতকাল বন্দরে খালাসের পরপরই রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কোচগুলো নগরের পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে নিয়ে যান।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম জানান, ১২ নম্বর জেটিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রেলওয়ের কোচ বহনকারী জাহাজটি বার্থিং দেওয়া হয় গত বৃহস্পতিবার। এর পরপরই কোচগুলো দ্রুত ও নিখুঁতভাবে নামানোর কাজ শুরু হয়। গতকাল দিনের বেলায় সব কোচ নামানো শেষ হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের মিটারগেজ ও ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্পের অধীনে ইন্দোনেশিয়ার সরকারি প্রতিষ্ঠান পিটি ইনকা রেলওয়ে ইন্ডাস্ট্রি থেকে এসব মিটারগেজ কোচ আমদানি করা হয়েছে। অর্থায়ন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ২৬টি কোচ আমদানি করতে খরচ পড়েছে ৭৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ বলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা উন্নতমানের ২৬টি কোচ চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে। এরপর রেলওয়ে ওয়ার্কশপে সেগুলো নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে আনুষঙ্গিক সংযোজন ও ট্রায়াল শেষে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী রুটে নামানো হবে।
ঈদের আগে কোচগুলো চালু করা সম্ভব কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে হারুন-অর-রশিদ আরো বলেন, ‘ঈদের আগে এসব কোচ যাত্রী পরিবহনে যুক্ত করাটা কঠিন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আশা করা হচ্ছে ঢাকা-রংপুর রুটে এসব কোচ দিয়েই নতুন ট্রেন চালু করা হবে।’