গাজীপুর: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিঃ জেঃ (অবঃ) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, সরকারী অনুমতি নিয়ে ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরে জনসভার প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে। পুলিশ জনসভাস্থল থেকে মঞ্চ তৈরীর জিনিসপত্র সহ ৬জন কমীকে পুলিশ লাইনে নিয়ে গেছে। জনসভা বন্ধ করতে চাইলে সরকারের প্রজ্ঞাপন দাবি করেছেন তিনি।
বুধবার বেলা দেড়টায় গাজীপুর জেলা বিএনপির কাযালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে হান্নান শাহ এসব কথা বলেন।
হান্নান শাহ বলেন, তারেক রহমান এ রকম কথা আগেও বলেছেন তখন কোন আন্দোলন হয়নি। গাজীপুর সিটি নিবাচনে আওয়ামীলীগ এক লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে জ্বালা মেটানোর জন্য গাজীপুরের জনসভায় বাঁধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
২৩ ডিসেম্বর আমাদের জনসভা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর গাজীপুরে আগমনকে সম্মান দেখিয়ে ২৭ ডিসেম্বর করা হয়েছে। ৭দিন পূবে জনসভার অনুমতি নিয়ে ডিসি এসপিকে কপি দেয়া হয়েছে। শান্তিপুন সমাবেশ অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারকে যথাযথভাবে আশ্বাস্থ করেই সম্পূন আইন মেনে প্রচারণা চলছে।
হান্নান শাহ অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ পুলিশের সহযোগিতায় জনসভাস্থলের মঞ্চ নিমান সামগ্রী ট্রাকে করে পুলিশ লাইনে নিয়ে গেছে। মঞ্চ নিমানকাজ করার সময় পুলিশ ৬জন বিএনপি কমীকে আটক করেছে। তাদের মুক্তির দাবি করেন তিনি।
গাজীপুরে আওয়ামীলীগের কোন সভা সমাবেশে বিএনপি কোন সময় বাঁধা দেয়নি উল্লেখ করে প্রবীন এই নেতা বলেন, গাজীপুরের এমপি মন্ত্রীরা নীরব রয়েছেন। তারা ছাত্রলীগকে কিছু বলছেন না।
আক্রমন আসলে আত্মরক্ষার নৈতিক অধিকার রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যত বাঁধাই আসুক গাজীপুরে বেগম খালেদা জিয়ার জনসভা হবে। তিনি অবিলম্বে সরকারকে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠেয় ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজ মাঠের জনসভা অনুষ্ঠানে সহযাগীতা করার আহবান জানান।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সিটি কপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এম এ মান্নান, সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্ধ।