সন্তানকে ভর্তির জন্য স্কুলে খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে প্রাণ হারিয়েছেন এক মা। তার নাম তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)। শনিবার সকালে রাজধানীর বাড্ডায় এ ঘটনা ঘটলেও এই হতভাগ্য মায়ের পরিচয় মিলে রাতে। নিহত তাসলিমা বেগম রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু লাশ সনাক্ত করেন।
নিহত রেনু লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরা থানার সোনাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু মুঠোফোনে বলেন, নিহত হওয়া ওই নারী তার খালা তাসলিমা বেগম রেনু। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।
তিনি মহাখালীর ৩৩/৩ জিপি জ ওর্য়ালেস গেইটে থাকতেন। তার দুই ছেলে। এর আগে তিনি স্কুলের পাশে আলী মোড় এলাকায় স্বামী তসলিম হোসেনের সাথে পরিবার নিয়ে থাকতেন। দুই বছর আগে পারিবারিক কলহের কারণে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকে সন্তানদের নিয়ে মহাখালীতে বাসা ভাড়া করে থাকতেন।
তিনি ছেলেধরা ছিলেন না।
তিনি আরও বলেন, নিহত রেনু শনিবার সকালে উত্তর বাড্ডায় ওই স্কুলে গিয়েছিলেন সন্তানকে ভর্তি করানোর জন্য খোঁজখবর নিতে। আর সেখানে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ প্রশাসন থাকতে ওই এলাকার লোকজন তাকে পিটিয়ে হত্যা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এর বিচার দাবি করেন তিনি।
এদিকে, ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বাড্ডা থানায় ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন নিহত রেনুর ভাগ্নে নাসির উদ্দিন টিটো। মামলা নং ৩০।
বাড্ডা থানার ওসি অপারেশন ইয়াসিন গাজী বলেন, নিহত হওয়া নারীর ভাগিনাসহ স্বজনরা লাশ প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ছেলেধরা সন্দেহে ওই নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।