রাতুল মন্ডল শ্রীপুর প্রতিনিধি: বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক মেয়ের জীবনের গল্প শুনছিলাম ২ যুগ আগে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলা থেকে নাজিম উদ্দিন নামের এক দিনমজুর ঘর বাঁধেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের ধনুয়া সরকারী পুকুরপাড়ে।
এর বেশ কয়েক বছর পরে দিনমজুর নাজিম উদ্দিনের ঘর আলোকিত করে আসে এক কন্যা সন্তান।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ফুটফুটে শিশু কন্যা হয় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। মেয়েটি বড় হলে তার দিকে নজর দেয় সমাজের শিক্ষক নামের এক নরপশু আফির উদ্দিন।
আফির উদ্দিন একই উপজেলার ধনুয়া গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে।
উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সে।
বিয়ের প্রলোভনে একের পর এক ধর্ষণ করে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়েটিকে।প্রতিবন্ধীর পরিবার তার শারিরিক পরিবর্তন দেখে ঘটনার বিষয়ে সব জানার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিচার দাবি করেন।
২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষক আফির উদ্দিন কে বিবাদী করে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর ছোট ভাই আকতার হোসেন বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
আফির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অধিদপ্তর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
এর কয়েক মাস পর সমাজ পতিদের হাত করে পূনরায় ঐ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা শুরু করেন সে।
এর কারণ জানতে চাইলে ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর জাহান বলেল, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের অনুমতি ক্রমে ঐ শিক্ষকে কর্মস্থলে যোগধানের অনুমতি দিয়েছি।
ধর্ষণের অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক আফির উদ্দিন কি করে আদলতের অনুমতি না পেয়ে পূনরায় স্কুলে যোগদান করেছেন এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল হাসান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে বরখাস্তকৃত শিক্ষক কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়টি আমার জানা নেই।
তবে ধর্ষণের অভিযোগ আদালত থেকে নিষ্পত্তি না হওয়া পযন্ত কর্মস্থলে যোগদান সম্পূর্ন বেআইনি।
কিন্তু সমাজ প্রতিদের চাপে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে আপোষও করেন এই ঘটনার।
এরই মধ্যে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটির কুল জুরে আসে ফুটফুটে কন্যা সন্তান, অনেকটা শখ করে কুলাঙ্গার আফির মাস্টারের নামের সাথে মিল রেখে শিশু সন্তানের নাম রাখেন আফরোজা। আফরোজার জন্মের সাথে সাথে শিশু সন্তানের পিতার পরিচয় দেওয়ার মত কোন নাম যোগ করতে পারছে না তার পরিবার।
এনিয়ে বিপাকে পরেছেন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়েটির পরিবার।