মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের চালিয়াতলী এলাকায় এক চাকরিজীবী তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে নারী ইউপি সদস্যের (মেম্বার) বাড়ি থেকে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে। এসময় ওই নারী মেম্বার শামীমাকে আটক করা হয়।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধারে মাতারবাড়িতে অভিযানে যায়।
তারা নারী ইউপি মেম্বার শামীমার বাড়ি থেকে ধর্ষিতা মেয়েটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। একই সাথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেম্বার শামীমাকে আটক করে।
ওসি আরো জানান, মেয়েটির জবানবন্দির উপর ভিত্তি করেই মামলার এজাহার লেখা হচ্ছে।
মামলা রুজু করা হয়েছে। ধর্ষকদের গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, চালিয়াতলী এলাকার মৃত আবুল হাছির পুত্র আমির সালাম, মোস্তাক আহমদের পুত্র এনিয়া এবং নলবিলা দরগাহপাড়ার মোক্তার আহমদের পুত্র আদালত খাঁ ও সিএনজি চালক ওসমান গণিসহ ১৪ জন মিলে গত ১০ জুলাই রাতে পাহাড়ে নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে মাতারবাড়ি সড়কের সিএনজি লাইনম্যান রশিদ, চালিয়াতলী এলাকার মেম্বার লিয়াকত আলী ও মাতারবাড়ির নারী মেম্বার শামীমা চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ। তারা ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করে প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিলো। কিন্তু এলাকাবাসী ঘটনাটি জানার পর তা নিয়ে ক্ষুব্দ হয়ে উঠে। এলাকাবাসীর চাপের মুখে ধর্ষণের ঘটনা মিমাংসার মিশন ব্যর্থ হয়ে যায়।
ঘটনা জানার পর পুলিশ ধর্ষিতাকে ওই নারী মেম্বারের ঘর থেকে উদ্ধার করে এবং ওই নারী মেম্বারকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে।