নেত্রকোনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ঘটনায় ১২ নারীসহ ৩২ জনকে আদালতে সোপর্দের পর ৮ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবার দুপুরে নেত্রকোনা সিনিয়র জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। নেত্রকোনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম জানান দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসময় তিনি বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ১১ সদস্যদের মধ্যে ৮ জন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষককে বরাখাস্থ করেছেন।
বাকি তিনজন প্রধান শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বরখাস্তের আবেদন করে বিভাগীয় পর্যায়ে পাঠিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, এই চক্রটির ৩২ জনকে আটকের পর বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এদের সাথে জেলার নামী-দামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আরো পাঁচজন রয়েছে, যারা পলাতক।
আটকদের মধ্যে মূল আসামি বলাই শিমুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান ছোটন ওরফে ছোটন মাস্টারের অর্থের উৎস্যসহ অন্যান্যদের সর্ম্পকেও পুলিশ তদন্ত করছে।
গত ২৮ তারিখে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি করে বড় একটি চক্র কেন্দুয়া উপজেলার শিল্পপতি শামীমের বাড়িতে আস্তানা করে। বিভিন্ন এক্সপার্টসহ শিক্ষকদের মাধ্যমে মেসেঞ্জারে উত্তর করে দেয়ার কাজ করছিলো। এসময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৩২ জনকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরো পাঁচজন বড় চক্র রয়েছে যারা আগেই পালিয়ে যায়। পরে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি রেখে ৯৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। গত রবিবার বিকালে ৩২ জনকে কোর্টে সোপর্দ করা হয়।
রিমান্ডের আসামিরা হচ্ছেন, বলাইশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল মান্নান ছোটন ওরফে ছোটন মাস্টার, সহকারী শিক্ষক মরিয়ম আক্তার, নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজহারুল ইসলাম, শরিফুজ্জামান ভূইয়া মিন্টু, বড়বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাকি, দিগদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মজিবুর রহমান, তেলিগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্মৃতি খানম এবং জঙ্গলটেঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েরর সহকারী শিক্ষক জেবুন্নাহার ডলি।