চট্টগ্রাম নগরের লালখানবাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুেপের সংঘর্ষে পুলিশসহ সাতজন আহত হয়েছেন। এসময় সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ চার রাউন্ড টিয়ারশেল ছুঁড়ে।
শনিবার বিকেলে লালখানবাজার কর্নার হোটেলের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে জড়িতরা লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলালের অনুসারী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আহতরা হলেন, মনির হোসেন (৪০), সোহেল (২৩), সুমন (১৮) ও ইমন (১৭)। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রযেছেন বলে জানান হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক হামিদুর রহমান।
এদিকে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে দুই গ্রুপের ছোঁড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরীর গাড়িচালক রহিমসহ তিন জন পুলিশ সদস্য।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে সংঘর্ষ হয়। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার ফের সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপ। এ সময় উভয় গ্রুপ একে অপরকে ঘায়েল করতে ফাঁকা গুলিও ছুঁড়ে।
খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, দিদারুল আলম মাসুম ও আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলালের অনুসারী দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে দুই গ্রুপের ছোঁড়া ঢিলের আঘাতে আহত হয়েছেন আমাদের তিন পুলিশ সদস্য। টিয়ারশেল নিক্ষেপ না করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতো বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় দুই গ্রুপের কেউই মামলার জন্য থানায় যোগাযোগ না করলেও পুলিশ সদস্যের আহত হওয়ার ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে জানান ওসি প্রণব চৌধুরী।