ভারতের ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে মুসলিম যুবক তাবরেজ আনসারির মৃত্যু নিয়ে উত্তাল গোটা ভারত। এর মধ্যেই সামনে এল আরও একটি খবর। জানা গেছে, ১৫ বছর আগে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছিল তাবরেজের বাবা মাসকুর আলমের। ‘চোর’ সন্দেহে তাকে পিটিয়ে মেরেছিল উন্মত্ত জনতা।
সম্প্রতি সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, জামশেদপুরের বাগবেরা অঞ্চলে নাকি চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন মাসকুর। তারপরই উত্তেজিত জনতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
সেটাও আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগের ঘটনা।
তাবরেজের বাড়ির কাছাকাছি থাকা এক বৃদ্ধা সেই দিনের ঘটনার কথা স্মরণ করে বলেন, ‘তাবরেজের বাবাকেও এভাবে গণপিটুনিতে মেরে ফেলা হয়েছিল। উন্মত্ত জনতা তার গলা কেটে দিয়েছিল। ওর মৃতদেহ যখন এখানে নিয়ে আসা হয়, তখন আমরা এখানেই ছিলাম। ’
এদিকে, তাবরেজের পরিবার অবশ্য ওই গণপিটুনির ঘটনাকে অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, ওই সংবাদমাধ্যমে ভুয়া খবর বেরিয়েছে। তবরেজের বাবার মৃত্যু গণপিটুনিতে হয়নি। তাবরেজের কাকা মাকসুদ আলম এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘১৫ বছর আগে তবরেজের বাবার গণপিটুনিতে মৃত্যুর খবর ভুয়া। বন্ধুদের সঙ্গে শত্রুতার জন্য তাকে খুন হতে হয়েছিল। ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি। কেউ গ্রেফতার হয়নি। ’
তাবরেজের বাবার বন্ধু সাব্বির খান বলেন, ‘তাবরেজের বাবা আমার প্রতিবেশি ছিল। ১৫ বছর আগে তাকে খুন করা হয়েছিল। ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। গ্রামবাসীরা তাবরেজের বাবার মৃতদেহ ড্রেনের পাশ থেকে উদ্ধার করেছিল। ওটা কোনোভাবেই গণপিটুনির ঘটনা ছিল না। ’