টাঙ্গাইলে আলোচিত মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদ কবিরের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মামলার অন্যতম আসামি ও সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির করা হয়।
টাঙ্গাইল আদালতের পুলিশ পরিদর্শক তানভীর আহাম্মেদ জানান, এ মামলায় ডা. আশরাফ আলী ও স্থানীয় আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষী প্রদান করেন।
পরে তাদের আসামি পক্ষ থেকে জেরা করা হয়। এ নিয়ে মোট ১৬ জনের সাক্ষী গ্রহণ করেছেন আদালত।
দুপুর ১টার দিকে আসামি আমানুর রহমান রানাকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
এ সময় আদলত চত্বরে অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এর আগে বুধবার যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন হত্যা মামলায় হাইকোর্ট আমানুর রহমান খান রানাকে স্থায়ী জামিনের আদেশ দেন। এই আদেশের খবর টাঙ্গাইলে পৌঁছালে রানার কর্মী সমর্থদের মাঝে আনন্দ উল্লাস বিরাজ করে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রানা জামিনে বের হয়ে আসছে এমন খবরে আদালত চত্বরে জড়ো হতে থাকেন কর্মী সমর্থকরা। অপরদিকে আজ সকালে রাষ্ট্রপক্ষ রানার স্থায়ী জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পরে ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। তবে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।
এই মামলায় সাবেক এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামিকে করা হয়েছে।