হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধি: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তিস্তা নদীতে আকস্মিকভাবে বন্যা দেখা দিয়েছে।
ফলে মহিষখোচা ইউনিয়নের তিস্তার চরাঞ্চলসহ ৫টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
গ্রামগুলো হচ্ছেঃ দ্বীপচর, দক্ষিণবালাপাড়া, গোবরধন, চন্ডিমারী ও কুটিরপাড়। সেই সাথে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।
সরেজমিন উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের তিস্তা বেষ্টিত এলাকা ঘুরে দেখাগেছে,তিস্তা নদীতে আকস্মিকভাবে পানিবৃদ্ধি পেয়েছে।
এলাকাবাসী জানান,মঙ্গলবার রাত থেকে হঠাৎ করে তিস্তা নদীতে পানি বাড়তে থাকে। আর সকাল হওয়ার সাথে সাথে অনেকের বাড়ী-ঘরে পানি উঠতে থাকে।
শুধু তাই নয়,পানিবৃদ্ধির ফলে গোবরধন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,গোবরধন এম,এইচ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গোবরধন হায়দারীয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ পানি উঠায় বিপাকে পড়তে হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
মহিষখোচা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান মতি ইত্তেফাককে জানান, আকস্মিকভাবে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের দ্বীপচরের প্রায় ৫ হাজার মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সেই সাথে চরাঞ্চলের লোকজনের বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল বাদাম,ভুট্টাসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
গোবরধন বাহাদুরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন,হঠাৎ করে নদীতে পানিবৃদ্ধির ফলে তিনি পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বিশেষ করে তিনি গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। একই কথা জানালেন,আজল মিয়াও।
গোবরধন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম জানান,বিদ্যালয়টি পানিবন্দি হওয়ায় শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। তিনি বিষয়টি উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলেও জানান।
মহিষখোচা ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হওয়ার কথা দাবী করে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দি পরিবারের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মফিজুল ইসলাম জানান,সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে পানিবন্দি পরিবারের তালিকা ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করার জন্য বলা হয়েছে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন,পানিবন্দি পরিবারের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।