বিশ্বকাপ ডেস্ক: জয়ের জন্য আফগানিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩৯৮ রান। স্বাগতিক ইংল্যান্ডের দেয়া এই পাহাড়সম রান তাড়া করতে পারেনি তারা। ২৪৭ অব্দি গড়িয়েছে তাদের ইনিংস। ফলে ১৫০ রানে জয় পেয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
আফগানিস্তান ৫০ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে করে ২৪৭ রান। সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন শাহিদী। রহমত শাহ ৪৬ ও আসগর আফগান করেন ৪৪ রান। জোফরা আর্চার ও আদিল রশিদ পান ৩ টি করে উইকেট।
দুজন ব্যাটসম্যানকে ফেরান মার্ক উড।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে ২১ চার ও ২৫ ছয়ের মারে আসে ৩৯৭ রান। দেখে মনে হবে টিভিতে হাইলাইটস দেখানো হচ্ছিল। আজ আফগান বোলারদের বাগে পেয়ে এভাবেই চার-ছক্কার মারের উৎসবে মেতেছিলেন ওল্ড টাফোর্ডে বিশ^কাপের ২৪তম ম্যাচে ব্যাট করা স্বাগতিক ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা।
রশিদ খান, দৌলত, নবী কারো বলই পাত্তা পেলো না মরগান, রুট, বেয়ারস্টোদের কাছে। একের পর এক চার-ছক্কায় ভাসিয়েছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। আর তাদের এই মারকুটে ব্যাটিংয়ে আফগানদের সামনে লক্ষ্য গিয়ে দাঁড়ায় ৩৯৮ রানে।
ব্যাটিংয়ে এসেই ঝড় তোলেন মরগান। তার ব্যাট থেকেই আসে ১৭টি ছয়ের মার। যা আফগান বোলারদের বেসামাল করে দিয়েছিল। আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে মরাগান মাত্র ৭১ বলে করে যান ১৪৮ রান করেন। হন ম্যাচ সেরা। এছাড়াও বেয়ারস্টো ও জো রুটের ব্যাটে ছিল রানের ছড়াছড়ি। বেয়ারস্টো করেন ৯০ ও রুট আউট হন ৮৮ রানে। এই তিন খেলোয়াড়ারের ভয়ংকর ব্যাটিংয়ে এই বিশ^কাপের সর্বোচ্চ ৩৯৭ রান আসে ইংলিশদের ব্যাট থেকে। আফগানদের পক্ষে দৌলত জাদরান, গুলবদিন নাইব নেন ৩টি করে উইকেট।
এছাড়া আফগান পোস্টার বয় রশিদ খান গড়েন এক লজ্জার রেকর্ড। এই স্পিনার ৯ ওভারে দেন ১১০ রান। রশিদ খানের বলে ছয় আসে ১১টি।
ইংল্যান্ড একাদশ
জেমস ভিন্স, জনি বেয়ারেস্টো, জো রুট, এউইন মরগান (অধিনায়ক), বেন স্টোকস, জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), ক্রিস ওকস, মঈন আলী, জোফরা আর্চার, মার্ক উড, আদিল রশিদ।
আফগানিস্তান একাদশ
রহমত শাহ, নুর আলী জাদরান, হাশমতউল্লাহ জাজাই, আসগর আফগান, মোহাম্মদ নবী, ইকরাম আলী খীল (উইকেটরক্ষক), গুলবদিন নাইব (অধিনায়ক), নাজিবুল্লাহ জাদরান, রশিদ খান, মুজিব-উর রহমান, দৌলত জাদরান।