হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ ভারী বৃষ্টি, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল এবং ভারত পানি ছেড়ে দেওয়ায় লালমনিরহাটে তিস্তা নদীতে ক্রমশ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিপদসীমার মাত্র ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে এখন।
তিস্তা নদীর পানি পরিমাপক উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রশীদ বলেন, ভারত পানি ছেড়ে দেওয়ায় তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে বিপদ সীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচে পানিপ্রবাহ রয়েছে, অর্থাৎ ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটারের ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তিস্তায় পানি প্রবাহ আরও বাড়তে পারে। এজন্য তিস্তা ব্যারাজের সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডসূত্র জানায়, তিস্তা ব্যারাজের উজানে পানির বিপদসীমা নির্ধারণ করা আছে ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।
মঙ্গলবার বিকালে ব্যারাজ এলাকায় পানি ৫২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল।
তিস্তা পাড়ের লোকজন জানান, হঠাৎ ঢলে তিস্তার দুই ধারে বসবাসরত মানুষের কিছু ঘর-বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে।
তারা আরও জানান, সকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজের উজানে ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের জল কপাটগুলো খুলে দেওয়া হয়।
এতে ভাটিতে লালমনিরহাট অংশে তিস্তা নদীতে পানির প্রবাহ বেড়ে গেছে। প্রায় পানিশূন্য তিস্তায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েক শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে হাতীবান্ধা ও কালীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নও তিস্তার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ পাওয়া যায়নি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরণ কেন্দ্র জানায়, উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে ওপার থেকে ঘোলা পানি আসছে। ডালিয়া পয়েন্টে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৬৭ মিলিমিটার।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা তিস্তা ব্যারাজারের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখে সতর্কাবস্থায় রয়েছি।