ভ্রমণে শিশুর ঘুম সমস্যা সমাধান করুন ৯ উপায়ে

লাইফস্টাইল

image_166935.beba-02শিশুকে নিয়ে ভ্রমণ করতে হলে আপনাকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ সময় শিশুর ঘুমও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এ লেখায় থাকছে তেমন ৯টি বিষয়।
১. পরিকল্পনা করুন
ভ্রমণকালে আপনার শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সব বিষয়ের সমাধান করার জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা প্রস্তুত করুন। ভ্রমণের সময় ভ্রমণসঙ্গীদের সঙ্গে শিশুকে রাখা সম্ভব নয়। এজন্য আগে থেকেই তার থাকার জায়গা নির্ধারণ করুন। হোটেলে থাকলে প্রয়োজনে শিশুর সঙ্গে থাকার জন্য আলাদা একটি রুম নিন।
২. পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে প্রস্তুত হোন
বড়দের তুলনায় শিশুর বেশি ঘুমের প্রয়োজন। আর এ প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে শিশুকে আগে থেকেই বেশি করে ঘুমাতে উৎসাহিত করুন। এতে ভ্রমণের সময় শিশুর ঘুমের সমস্যা হলেও তাতে তেমন প্রভাব পড়বে না।
৩. সময় মেনে চলুন
আপনি যদি শিশুকে নিয়ে দূরবর্তী কোনো স্থানে ভ্রমণে যান তাহলে তার নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে চলুন। কোন সময় সে খায়, কোন সময় তার ন্যাপি পরিবর্তন করা হয়, কোন সময় ঘুমায়, একটু অসুবিধা হলেও এসব বিষয় আগের মতোই রাখার চেষ্টা করুন। আপনার ভ্রমণকালে যদি সময় অঞ্চলের পার্থক্য হয় তাহলেও আগের সময়সূচি মেনে চলুন।
৪. শিশুর দেহঘড়ি চালু রাখুন
রাতের অন্ধকারে ঘুমানো হবে, সকালের উজ্জ্বল আলোয় ঘুম থেকে ওঠা হবে, এমনটাই স্বাভাবিক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বিষয়গুলো শিশুর দেহে মেলাটোনিন উৎপাদনে সহায়তা করে, যা রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে সাহায্য করে।  ভ্রমণকালেও এ বিষয়গুলো একই রাখার চেষ্টা করতে হবে। এ নিয়মে বেশি পরিবর্তন হলে তা শিশুর জন্য সমস্যা তৈরি করবে।
৫. নির্দিষ্ট সময়ে ন্যাপি পরিবর্তন
শিশুর ন্যাপি পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ভ্রমণকালেও এ কাজে যেন গুরুত্ব কমে না যায়, তা খেয়াল করতে হবে। প্রয়োজনে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি করে ন্যাপি পরিবর্তন করুন।
৬. ঘুমের সময় ঠিক রাখুন
বাড়িতে যে সময় ঘুমানো হয়, সে সময়টিই ঠিক রাখার চেষ্টা করুন। এতে শিশুর ওপর বাড়তি চাপ পড়বে না।
৭. তার প্রিয় কিছু জিনিস নিয়ে নিন
শিশুর দৈনন্দিন পরিচিত কিছু জিনিস সঙ্গে নিন। এটি হতে পারে প্রিয় কোনো খেলনা, পোশাক কিংবা খাবার। এতে সে মানসিকভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকবে।
৮. প্রয়োজনে সাহায্য চান
আপনার সন্তানের ঘুমানোর সময় যদি অন্যরা তাকে বিরক্ত করতে বা তার সঙ্গে খেলতে চান তাহলে তাদের বিষয়টি সরাসরি পরিষ্কার করে বলুন। প্রয়োজনে তাদের সহায়তা চান। এক্ষেত্রে বয়স্ক ব্যক্তিদের সহায়তা কাজে লাগতে পারে।
৯. ঘরে ফিরেই পুরনো সময়
বাড়িতে ফিরে আসার পর আপনার শিশুর পুরনো সময়সূচি অনুযায়ী সময় কাটানো শুরু করুন। এতে প্রথমে একটু কষ্ট হলেও শিশু তাতে দ্রুত মানিয়ে নেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *