বিশ্বকাপ ডেস্ক: পাকিস্তানি বোলারদের বিরুদ্ধে শুরুটা শান্ত মেজাজে থাকলেও সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি রোহিত-রাহুলদের। ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডার যে কতটা শক্তিশালী সেটা আবারো প্রমাণ করলেন দুজন। এক জুটিতেই আসে ১৩৬ রান। তবে অর্ধশত রান করে রাহুল ফেরত গেলেও দমে যাননি রোহিত শর্মা। কাপ্তান বিরাট কোহলিকে সঙ্গে পেয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি উপহার দেন রোহিত। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ২৪-এ। ১১৩ বলে ১৪০ রান করা রোহিতকে ফেরান হাসান আলী। তার এই ঝড়ো ইনিংসে ছিলো ১৪টি চার ও ৩টি ছয়ের মার।
রোববার ম্যানচেস্টারে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কিছুটা ঠান্ডা মেজাজে খেললে দুই ওপেনার মিলে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। রাহুল-রোহিত দুজনই শাসন করে বোর্ডে জমা করেন ১৩৬ রান। এই শতরানের পার্টনারশিপ ভাঙেন ওয়াহাব রিয়াজ। লোকেশ রাহুল ফেরেন ৫৭ রানে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভারতের স্কোর ৪৬ ওভার ৪ বলে ৪ উইকেটে ভারতের সংগ্রহ ৩০৫। বিরাট কোহলি ৭১ ও বিজয় শঙ্কর ৩ রানে ক্রিজে রয়েছেন। এরপর শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির হানায় আপাতত কেলা বন্ধ রয়েছে।
আজ বিশ্বকাপের ২২তম ম্যাচটি হচ্ছে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে। ভারতীয়রা ইনজুরির আক্রান্ত ওপেনার শিখর ধাওয়ানকে পাচ্ছেননা এই ম্যাচে। তার পরিবর্তে খেলছেন বিজয় শঙ্কর। আর পাকিস্তান দলে পরিবর্তন দুটি। লেগ স্পিনার শাদাব খানের সঙ্গে দলে ফেরানো হয়েছে অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিমকে। বাদ দেয়া হয়েছে শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং আসিফ আলিকে।
বিশ্বকাপে ভারত
বিশ্বকাপে দারুন ফর্মে রয়েছে ভারত। বিশ্বকাপে খেলা দুই ম্যাচের দু’টিতেই জিতেছে ভারত, তাদের একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬ উইকেটে হারায় ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পায় ৩৬ রানে। আর তাদের তৃতীয় ম্যাচে বৃষ্টির বাধায় করে পয়েন্ট ভাগাভাগি।
বিশ্বকাপে পাকিস্তান
পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ম্যাচে উইন্ডিজদের কাছে ৭ উইকেটে হারে। পরের ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পায় ১৪ রানে। তৃতীয় ম্যাচে বৃষ্টির হানায় শ্রীলঙ্কার সঙ্গে করে নেয় পয়েন্ট ভাগাভাগি। আর চতুর্থ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তান হারের স্বাধ পায় ৪১ রানে।
মুখোমুখি
দু’দল বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয় ৬ বার। প্রত্যেক ম্যাচেই জয় পায় ভারত। আর পরস্পর ১৩১ বারের দেখায় ৫৪ ম্যাচ জয় পায় ভারত। আর পাকিস্তান ৭৩ ম্যাচে। পরিত্যক্ত হয় ৪টি ম্যাচ।
ভারতীয় একাদশ
রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), বিজয় শঙ্কর, মহেন্দ্র সিং ধোনি (উইকেটরক্ষক), কেদার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার, কুলদীপ যাদব, ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল এবং জসপ্রিত বুমরাহ।
পাকিস্তান একাদশ
ইমাম-উল হক, ফাখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক এবং উইকেটরক্ষক), শোয়েব মালিক, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, ওয়াহাব রিয়াজ, হাসান আলি এবং মোহাম্মদ আমির।