চট্টগ্রামে ইয়াবাসহ পুলিশের উপ-পরিদর্শক গ্রেফতারের ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। মামলায় গ্রেফতার হওয়া এসআই সিদ্দিকুর রহমান, রেলওয়ে থানার টিএসআই বাবলু খন্দকার ও অজ্ঞাতনামা একজনসহ তিনজনকে আসামি করা হয়। শনিবার ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করেন টেরোরিজম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক সঞ্জয় গুহ।
টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় দুইজনের নাম উল্লেখসহ তিন জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া সিদ্দিকুরকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তাই তাকে রিমান্ডে আনা হবে। ’
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিদ্দিকুর রহমান জানান রেলওয়ে থানার টিএসআই বাবলু খন্দকারের মাধ্যমে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ইয়াবাগুলো সংগ্রহ করেছেন।
সিদ্দিকুর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বাবলু পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অজ্ঞাত যে ব্যক্তির কাছ থেকে ইয়াবাগুলো সংগ্রহ করেছে তাকেও শনাক্তের চেষ্টা চলছে। সিদ্দিকুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিবার আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। ’
পুলিশের উপ কমিশনার (বন্দর) হামিদুল আলম বলেন, ‘ইতিমধ্যে সিদ্দিকুরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় অন্যান্য ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। ’
রেলওয়ে চট্টগ্রাম থানার ওসি মোস্তাফিজ ভূঁইয়া বলেন, ‘বাবলু খন্দকারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ’
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে নগরের ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনী থেকে ১০ হাজার ইয়াবাসহ নগর পুলিশের বন্দর বিভাগের এসআই সিদ্দিকুর রহমানকে র্যাব ও কাউন্টার টেরোরিজমের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ইয়াবা বিক্রির ৮০ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়।