ঢাকা: ঈদে যাতায়াতে দেশের সড়ক-মহাসড়কে ২৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭৩ জন নিহত ও ৮৪৯ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সম্মিলিতভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৫৬টি। এতে মোট নিহত হয়েছে ২৯৮ জন, আহত হয়েছে ৮৬০ জন। আজ ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
লিখিত প্রতিবেদনটি পাঠ করেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, বিগত ঈদের চেয়ে এবার রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো, নৌ-পথে বেশ কয়েকটি নতুন লঞ্চ বহরে যুক্ত হয়েছে, রেলপথেও বেশকয়েক জোড়া নতুন রেল ও বগি সংযুক্ত হয়েছে। এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় জনসাধারণ আগে-ভাগে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাওয়ায় ঈদযাত্রা খানিকটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে মোজাম্মেল হক বলেন, এ বছর মোট সংঘটিত ২৩২টি সড়ক দুর্ঘটনার ৭৬টি ঘটেছে মোটরসাইকেলের সঙ্গে যানবাহনের সংঘর্ষে, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩ শতাংশ। যেখানে মোট নিহতের ৩০ শতাংশ এবং মোট আহতের ১০ শতাংশ । অন্যদিকে পথচারীকে গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা প্রায় ৪৫ শতাংশ ঘটেছে।
আগামী ঈদে এ দুটি ঘটনা এড়ানো সম্ভব হলে এই দুর্ঘটনার প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৩০শে মে থেকে ঈদ শেষে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফেরা ১১ই জুন পর্যন্ত বিগত ১৩ দিনে ২৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭৩ জন নিহত ও ৮৪৯ জন আহত হয়েছে। এসব ঘটনায় ৪০ জন চালক, ২০ জন শ্রমিক, ৬৮ জন নারী, ৩৩ জন শিশু, ২৪ জন ছাত্র-ছাত্রী, ২ জন চিকিৎসক, ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ৩ জন রাজনৈতিক নেতা, ৯১২ জন পথচারী সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
এ সময়ে রেল পথে ট্রেনে কাটা পড়ে ৮টি, ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ২টি , ট্রেন যানবাহন সংঘর্ষে ১টি, ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ২ আত্মহত্যার ঘটনায় মোট ১৩টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে ৩ জন। একই সময়ে নৌ-পথে ১১টি ছোটখাট বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত, ৩ জন নিখোঁজ ও ৮ জন আহত হয়েছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য ৪০টি জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক, ৮টি অনলাইন দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।