ডেস্ক: নুসরাত জাহান রাফির হত্যার ঘটনায় আলোচিত সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যশোরে পোঁছেছে। তার স্থায়ী ঠিকানা যশোর হওয়ায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে জেলা পুলিশের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে। গতরাতে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আনসার উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের যশোরের পৈতৃক বাড়ি ও তার স্বজনরা পুলিশি নজরদারিতে আছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ওসি মোয়াজ্জেমের বাবা ঝিনাইদহের বাসিন্দা হলেও কয়েক যুগ আগেই যশোর শহরের রায়পাড়ায় জমি কিনে বাড়ি তৈরি করেন। ওই বাড়িতেই শৈশব কাটে মোয়াজ্জেমের। তবে চাকরির সুবাদে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া এ বাড়িতে আসেন না মোয়াজ্জেম। যশোরের বাড়িটিতে এখন তার দুই ভাই ও এক বোন মায়ের সঙ্গে বসবাস করেন। ঈদের আগে এ স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন মোয়াজ্জেম।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আসায় বাড়িটি ও তার স্বজনদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
গত ৬ই এপ্রিল ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে ধরিয়ে দেয় বোরকা পরিহিত কয়েকজন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। এর কয়েকদিন আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান নুসরাত।
থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম এ সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ওই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে সেটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআই গত ২৭শে মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ওই দিনই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পরোয়ানার জারির পর থেকে লাপাত্তা আলোচিত এই পুলিশ কর্মকর্তা।