ডেস্ক: ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিতে সমর্থনের অংশ হিসেবে নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও মানুষে মানুষে সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন ডিসিতে সোমবার ৭ম ইউএস-বাংলাদেশ পার্টনারশিপ ডায়ালগ শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। ওই বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডারসেক্রেটারি ডেভিড হ্যালে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা ইউএনবি।
বৈঠকে দুই দেশ সন্ত্রাসের বিষয়ে অব্যাহত চ্যালেঞ্জ, মানবাধিকারের প্রতি বাধ্যবাধকতার গুরুত্বের বিষয়ে স্বীকার করে নিয়েছে। একই সঙ্গে নিরাপত্তায় অগ্রগতির বিষয়েও কথা হয়েছে। এতে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে যে, ৮ম পার্টনারশিপ ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায় এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে এ জন্য উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করা হবে।
ইউএনবি লিখেছে, দুই দেশের মধ্যে বিনিময় করা ক্লাসিফায়েড বা গোপন সামরিক তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে অব্যাহত আলোচনার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে এমন আলোচনা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, দুই দেশের সরকার সাইবার নিরাপত্তার উদ্দেশ্য শেয়ার করেছে। পাশাপাশি এর ভিত্তিতে পারস্পরিক স্বার্থে সহযোগিতা অন্বেষণ, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি বিষয়ক সমর্থন দেয়ার ক্ষেত্রেও একমত হয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে সচেতনা বৃদ্ধি, দস্যুতা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তায় সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বাড়তি নিরাপত্তা সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ ছাড়া দুই দেশ তাদের মধ্যে বিদ্যমান স্থায়ী অংশীদারিত্ব, নিরাপত্তা, উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা, দুর্যোগে ত্রাণ ও সন্ত্রাস মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। তারা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অবাধ, উন্মুক্ত, সবার জন্য অংশগ্রহণমুলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ করার বিষয়ে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে নিবিড়ভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে অব্যাহত রাখতে একমত হয়েছেন।
শান্তিরক্ষা অপারেশনে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ভূমিকার প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৈঠকে প্রতিনিধিরা অপারেশনাল পর্যায়ে মনুষ্যবিহীন অংশীদারিত্বমূলক এয়ারক্রাফট সিস্টেমের বিষয়ে জোর দেন। এ ছাড়া রোহিঙ্গা ও তাদেরকে আশ্রয়দাতাদের প্রতি অব্যাহত সমর্থন দেয়ার জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর মতো বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে অব্যাহতভাবে কাজ করে যেতে একমত হয়েছে দুই দেশের সরকার। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর কার্যকর চাপ প্রয়োগের বিষয়েও একমত হয়েছেন তারা।