ঢাকা: নৈতিক স্খলন ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ইরান ও লেবানন থেকে বাংলাদেশের দুই রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। অভিযোগের তদন্তের জন্য গঠিত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ওই দুই কূটনীতিককে সরকার দেশে ফিরিয়ে আনছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা শনিবার জানান, গত এপ্রিলে ইরানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ কে এম মুজিবর রহমান ভূঁইয়া ও লেবাননে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুল মোতালেব সরকারকে ঢাকায় ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নৈতিক স্খলনের অভিযোগে এ কে এম মুজিবর রহমান ভূঁইয়াকে এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে আবদুল মোতালেব সরকারকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইরানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের জন্য জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদকে গত মার্চে তেহরানে পাঠানো হয়। অন্যদিকে, লেবাননে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বরে বৈরুতে পাঠানো হয় চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিমকে। দুটি কমিটিই তদন্ত শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।
ঢাকায় ফিরে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে লেবানন থেকে রোববার সন্ধ্যায় আবদুল মোতালেব সরকার এই প্রতিবেদককে বলেন, গত এপ্রিলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক আদেশে আমাকে ঢাকায় ফিরতে বলেছে।
অন্যদিকে, ইরানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ কে এম মুজিবর রহমান ভূঁইয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, এ কে এম মুজিবর রহমান ভূঁইয়ার পরিবর্তে ইরানে একজন পেশাদার কূটনীতিক এবং লেবাননে প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে নিয়োগের প্রস্তুতি চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রদূত পদে এটাই প্রথম পরিবর্তন।