টঙ্গী: টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর মদিনা পাড়া এলাকায় স্থানীয় এক সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে ঢাকার এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শনিবার গভীর রাতে আলো ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম চন্নু ভূইয়া (৫৩)। ঢাকার গেন্ডারিয়ায় তাদের বাসা। সে সেখানে ব্যবসা করে। বড় ভাই আতাউর রহমান খান জুয়েলের বাসায় স্বপরিবারে বেড়াতে এসে সে এই হত্যাকান্ডের শিকার হয়।
তার পিতার নাম আব্দুল কদ্দুস ভূইয়া। বড় ভাই আতাউর রহমান খান জুয়েল ও নিহতের বিয়াই কে আর খান মিলু জনকন্ঠকে জানান, শনিবার রাতে একদল সন্ত্রাসী তাদের বাসভবনের সামনে দাড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিল ।
এ সময় মিন্টু নামের স্থানীয় এক সন্ত্রাসী তার মোবাইলে কোন একজনকে জঘন্য ভাষায় গালাগাল করছিল। বারান্দা থেকে তারা মিন্টু সন্ত্রাসীকে মোবাইলে এ সব গালাগাল না করার জন্য বারন করলে সে বাড়ীর লোকদের গালাগাল করতে থাকে। এ পর্যায়ে তারা বাসা থেকে নেমে আসলে আতাউর রহমান খান জুয়েলকে সূঁইচ গিয়ার ছোড়া দিয়ে সন্ত্রাসী মিন্টু পোঁচ দিতে উদ্বত হয় ।
এ সময় ছোড়ার পোঁচ ফেরাতে গেলে চুন্নু ভূইয়া মারাত্মকভাবে ছুরিকাঘাত হন। দ্রুত তাকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ডাক্তাররা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ডাক্তাররা চুন্নু ভূইয়াকে মৃত ঘোষনা করেন।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, স্থানীয় এক সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। আত্মীয় স্বজনের পক্ষ থেকে মামলার দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। নিহতের বিয়াই কে আর খান মিলু জনকন্ঠকে আরো জানান, ঈদের পূর্নমিলনী অনুষ্ঠান করতে নিহতের নিজের অন্য ভাই ও ভাইদের শ্বশুর বাড়ীর সকল আত্মীয় স্বজন টঙ্গীর আলো ভবনে শনিবার মিলিত হন। ওই সময়ই এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত চুন্নু ভূইয়ার স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তার বড় ভাই আলী আকবর ঢাকা ইসলামপুরের বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি। হত্যাকান্ডের পরপরই এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন দ্বিকবিদিক ছুটাছুটি শুরু করে। এলাকাবাসী সন্ত্রাসী মিন্টুসহ স্থানীয় চিহিৃত সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করে।