ডেস্ক: বিয়ে করলেন জার্মান জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক মিডফিল্ডার, ফুটবল ক্লাব আর্সেনালের তারকা খেলোয়াড় মেসুত ওজিল। শুক্রবার তিনি সাবেক মিস তার্কি আমিনি গুলসে’র সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ উপলক্ষে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বোসফেরাস নদীর তীরে একটি বিলাসবহুল হোটেলে হয় তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এতে নামীদামি অতিথিরা আপ্যায়িত ছিলেন। তার মধ্যে ‘বেস্ট ম্যান’ ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবল থেকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে বিদায় হয় সাবেক চ্যাম্পিয়ন জার্মানির। এ সময় জার্মান দলের মিডফিল্ডার ছিলেন ৩০ বছর বয়সী ওজিল। ওই পরাজয়ের পর তিনি ভীষণভাবে সমালোচিত হন একটি ছবির কারণে।
ওই ছবিটি ছিল রিসেপ তায়্যিপ এরদোগানের সঙ্গে। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। সমালোচনা এ জন্য যে, তিনি জার্মানির জাতীয় দলের খেলোয়াড়। কিন্তু তার আনুগত্য রয়েছে তুরস্কের প্রতি। ফলে গত বছর তিনি জার্মানির জাতীয় দল থেকে ‘বর্ণবাদের’ অভিযোগে পদত্যাগ করেন। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ।
এতে বলা হয়েছে, ১৯৯২ সালে জার্মানিতে আবির্ভাব ঘটে মেসুত ওজিলের। ২০১৪ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় জার্মানি। এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার। কিন্তু গত বিশ্বকাপে ব্যর্থতার জন্য তার বিরুদ্ধে জার্মানির ফুটবল বিষয়ক কর্মকর্তারা যে সমালোচনা করেছেন তাকে তিনি ‘বর্ণবাদ’ আখ্যা দিয়েছেন। ফলে গত বছর জুলাই মাসে তিনি জার্মানির জাতীয় দল থেকে আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেন।
গত মার্চেই ওজিল ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার বিয়ের অনুষ্ঠানে এরদোগানকে আমন্ত্রণ জানানো হবে এবং তিনিই হবেন অনুষ্ঠানের ‘বেস্ট ম্যান’। কিন্তু এরদোগানকে আমন্ত্রণ জানানোর বিরুদ্ধেও সমালোচনা হচ্ছে। এ সমালোচনায় সুর মিলিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেলের চিফ অব স্টাফ হেলেগে ব্রাউন। তিনি বিল্ড পত্রিকাকে বলেছেন, এরদোগানের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের বিষয়ে জার্মান জনগণ এমনিতেই ওজিলের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছেন। তার ওপর তিনি আবার এমন একটি উদ্যোগ নিলেন। এটাকে যে কেউ খারাপভাবে নিতে পারেন।