ঢাকা: রাজধানীর হানিফ উড়ালসড়কে এক ঘণ্টার ব্যবধানে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন তিনজন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে।
নিহত দুজন হলেন মো. ইমন (২০) ও রিয়াজ আহম্মেদ (১৮)। ইমন রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। রিয়াজ এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
আহত তিনজন হলেন মো. সোহাগ (১৯), মো. নাসিম (২০) ও সোহাগ (১৮)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল খান বলেন, হানিফ উড়ালসড়কে আজ সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন মারা গেছেন। দুজনই মোটরসাইকেলের আরোহী। একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে উড়ালসড়কের সালাউদ্দিন হাসপাতাল বরাবর অংশে, অপরটি হানিফ উড়ালসড়কের সায়েদাবাদ অংশে।
সালাউদ্দিন হাসপাতাল বরাবর সড়ক দুর্ঘটনার ব্যাপারে ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নয়ন কুমার দাস বলেন, বেলা আড়াইটার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, তিন বন্ধু মিলে মোটরসাইকেলে করে শনির আখড়া থেকে গুলিস্তানের দিকে রওনা দেন। বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে এসে উড়াল সড়কের রেলিংয়ে মোটরসাইকেলটি আঘাত করে। নিহত ইমনের মাথায় হেলমেট ছিল না। তিনি (ইমন) ছিলেন মোটরসাইকেলের পেছনের অংশে।
এসআই নয়ন কুমার জানান, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর গুরুতর আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আবদুল খান বলেন, হানিফ উড়ালসড়কে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুজনের চিকিৎসা চলছে। ইমন, সোহাগ ও নাসিম পরস্পর বন্ধু। তাঁদের বাসা শনির আখড়ার বটতলা এলাকায়। ঈদে ঘুরতে বের হয়েছিলেন তাঁরা। শনির আখড়া থেকে তাঁদের যাওয়ার কথা ছিল শহীদ মিনার এলাকায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আবদুল খান বলেন, রিয়াজ এবং সোহাগের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। রিয়াজ মুগদায় তাঁর অসুস্থ মামাকে দেখতে মোটরসাইকেলে করে সোহাগকে নিয়ে হানিফ উড়ালসড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারালে তাঁরা গুরুতর আহত হন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বিকেল ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিয়াজ মারা যান। তাঁর বন্ধু সোহাগের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।
ওয়ারী থানার এসআই নয়ন কুমার দাস বলেন, বেপরোয়ায় গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণেই হানিফ উড়াল সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।