ধর্ষণ বুলেটের চেয়েও ভয়ঙ্কর: ট্রাইব্যুনাল

Slider বাংলার আদালত

image_111270_0বুলেটের আঘাতের চেয়েও ধর্ষণের আঘাত অনেক যন্ত্রণাদায়ক, ভয়ঙ্কর বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

মঙ্গলবার একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মামলার রায়ে ট্রাইব্যুনাল এ মন্তব্য করেন।

ট্রাইব্যুনাল তার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, একাত্তর সালে শত্রুর গুলিতে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের থেকেও যন্ত্রণাদায়ক হলো যারা একাত্তর সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

আদালত বলেন, ধর্ষণের যন্ত্রণা সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। সামাজিকভাবেও এ যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়।

এ জন্য আদালত বলেছেন, একাত্তরে যুদ্ধ শিশু, ধর্ষিত নারী ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের তালিকা করে পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপূরণ প্রদানে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

এ ছাড়া নির্যাতনের শিকার এমন ব্যক্তিদের ‘জাতীয় বীর’ উল্লেখ করে তাদেরকে স্যালুট করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত।

এদিকে সৈয়দ কায়সারের রায়কে ব্যতিক্রমী রায় উল্লেখ করে প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে এ রায়টিকে বিরাঙ্গনাদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন।

প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন, “এ রায়টিকে আমাদের দেশের বিরাঙ্গনাদের প্রতি উৎসর্গ করা উচিত। ”

প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত বলেন, “এ রায়ে আমরা খুশি। এতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ”

এর আগে ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

কায়সারের বিরুদ্ধে গণহত্যার একটি, হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি এবং ধর্ষণের দুটিসহ মোট ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ১৪টি প্রমাণিত হয়েছে।

প্রমাণিত অভিযোগের মধ্যে ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

এছাড়া ১, ৯, ১৩ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর, ৭ নম্বরে সাত বছর ও ১১ নম্বরে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে এ অভিযোগগুলোতে কোনো শাস্তি দেয়া হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *