ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দারুণ জয় এল। সাকিব আল হাসান ম্যাচসেরা। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, এ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অনেক কিছুই প্রমাণ করার আছে। জয়টিকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা জয়ও বললেন এ নিয়ে চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলা বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়! ম্যান অব দ্য ম্যাচ আর কেউ নন—সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে ৭৫ রানের ইনিংস আর ভালো বোলিং। সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আন্দিলে ফিকোয়াওয়ের ক্যাচ। ম্যাচের সেরা তো তিনিই। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ১৪২ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে শুরুতেই বাংলাদেশকে চালকের আসনে বসিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটিও তো দুর্দান্ত। সাকিব নিজে বললেন, এটি ক্রিকেটে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা জয়। নিজের চতুর্থ বিশ্বকাপে এসেও কথাটা বলার সময় সাকিবের কণ্ঠটা যেন একটু কাঁপল—অবশ্যই আবেগে। এই বিশ্বকাপে যে অনেক কিছুই প্রমাণ করার বাকি বাংলাদেশের।
Kool Body Spray
ম্যাচসেরার পুরস্কারটি হাতে নিয়ে সেটি বললেন সাকিব, ‘আমি মনে করি, এটি আমাদের অন্যতম সেরা জয়। আমরা আগেও বিশ্বকাপে ম্যাচ জিতেছি। আপসেট ঘটিয়েছি। এটা তো আমার চতুর্থ বিশ্বকাপ। এ বিশ্বকাপে আমাদের প্রমাণ করার অনেক কিছুই আছে। আজ আমরা জিতেছি। এভাবেই বিশ্বকাপের শুরুটা করতে চেয়েছিলাম। শুরুটা তো এর চেয়ে দারুণভাবে আর হতে পারত না।’
বিশ্বকাপে ভালো কিছু করার বিশ্বাসটা বাংলাদেশ দলের সবার মধ্যেই ছিল। সাকিব আজ সেটি আবার নতুন করেই বললেন, ‘ইংল্যান্ডে আসার আগেই আমাদের মধ্যে একটা বিশ্বাস ছিল। এ ধরনের শুরুটাই আমাদের দরকার ছিল। আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা এমন দারুণ একটা শুরু পেয়েছি।’
উস্টারশায়ারে দুই মৌসুম খেলার অভিজ্ঞতাটা আজ ওভালে যে দারুণভাবে কাজে লেগেছে, সেটিও জানিয়েছেন সাকিব, ‘উস্টারশায়ারে দুই মৌসুম খেলার অভিজ্ঞতাটা আজ খুব কাজে এসেছে। আমি এ মাঠের কন্ডিশন সম্পর্কে জানতাম। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এখানে খেলেছি। আমরা জানতাম, ওভালের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো। মাঠে নেমে কিছুটা এদিক-ওদিক মানিয়ে নিতে হয়েছে। আমাদের হোমওয়ার্কটা তো করা ছিলই।’
মুশফিকের সঙ্গে ১৪২ রানের জুটিটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা জুটি—সাকিব এ ব্যাপারটি জানতেন না। তবে মুশফিকের সঙ্গে জুটিটি যে দারুণ একটা ব্যাপার ছিল, আনন্দের সঙ্গেই বললেন, ‘আমি রেকর্ডের ব্যাপারটি জানতাম না। তবে জুটিটি কিন্তু দলের দারুণ কাজে এসেছে। আমরা দুজন মিলে ইনিংসটাকে আগলে রেখেছিলাম। মনে হয়, সেটি আমরা ভালোভাবেই করতে পেরেছিলাম।’