বগুড়া: বগুড়া–৬ আসনের নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়বেন জি এম সিরাজ। সিরাজ বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক। তিনি ২০০৭ সালের এক–এগারোর সময় দলে সংস্থারপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই আসন থেকে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। কিন্তু দল না চাওয়ায় তিনি সাংসদ হিসেবে শপথ নেননি। এ কারণে এই আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সেখানে উপনির্বাচনের ঘোষণা দেয় ইসি। ২৪ জুন এই আসনে ভোট।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে বগুড়া-৬ আসনে দলীয় মনোনয়নের চিঠি আনুষ্ঠানিকভাবে জিএম সিরাজের হাতে তুলে দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জিএম সিরাজ পরিবহন ব্যবসায়ী। এ ছাড়া তাঁর হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট ও পেট্রল পাম্পের ব্যবসা আছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দেওয়ার জন্য দলীয় মহাসচিব স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২–এর ১৬ এর ২ অনুচ্ছেদের বিধানমতে, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রদানপূর্বক “ধানের শীষ” প্রতীক বরাদ্দ করা হলো।’
বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে ধানের শীষের চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জি এম সিরাজ। তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘রোববার বিকেলে দলীয় মহাসচিবের কাছ থেকে চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি পেয়েছি। সোমবার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে প্রতীক বরাদ্দের জন্য আবেদন করব।’
জি এম সিরাজ এর আগে ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে সাংসদ নির্বাচিত হন। এক–এগারোর প্রেক্ষাপটে সংস্কারপন্থীদের পক্ষ নেওয়ায় টানা ১০ বছর বিএনপিতে কোণঠাসা ছিলেন সিরাজ। গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৫ আসনে বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলেও তিনি পরাজিত হন। এরপর গত ১৫ মে জিএম সিরাজকে আহ্বায়ক করে বগুড়া জেলা বিএনপির কমিটি অনুমোদন দেন দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করায় ১৬ নেতাকে বহিষ্কার, পদ স্থগিত ছাড়াও জেলা যুবদল এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। বহিষ্কৃত নেতারা বগুড়া শহরের নওয়াববাড়ি সড়কের দলীয় কার্যালয়ে ১৬টি তালা ঝুলিয়ে দেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম বগুড়া জেলায় । এ কারণে বগুড়া-৬ (সদর) আসনটি জিয়া পরিবারের জন্য ‘সংরক্ষিত’ আসন হিসেবে পরিচিত। ১৯৭৯ থেকে ২০০৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত আসনটি একচ্ছত্র দখলে ছিল বিএনপির।