ঢাকা: দুই ওপেনারকে হারানোর ধাক্কা সামলে এখন ছুটছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচে দলকে এখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। দুই সিনিয়র সুপারস্টারই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ক্রিস মরিসকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৫৪ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ক্যারিয়ারের ৪৩তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছে বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার। অন্যদিকে ফেলুকায়োকে বাউন্ডারি মেরে ক্যারিয়ারের ৩৪তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিতে মুশফিক খেলেছেন ৫২ বল। ইতিমধ্যে দুজনের জুটিতে এসে গেছে ১০০ রান। ২৮.৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৮১ রান।
লন্ডনের কেনিংটন ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্ক শুরু করে বাংলাদেশ। লুঙ্গি এনগিডি এবং কাগিসো রাবাদাকে দিয়ে বোলিং ওপেন করান ফাফ ডু প্লেসিস। দুজনকেই বেদম প্রহারের শিকার হতে হয়েছে। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা খোলেন সৌম্য সরকার। এরপর দ্রুতই রানের চাকা সচল করেন এই তরুণ ওপেনার। বিধ্বংসী সৌম্যর সঙ্গে তামিমের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৭ ওভারে টাইগারদের স্কোর ৫০ স্পর্শ করে।
অল-রাউন্ডার আন্দিলে ফেলুকায়ো এসেই তুলে নেন তামিম ইকবালকে। সৌম্য সরকারের সঙ্গে তার ওপেনিং জুটি হয়েছিল ৬০ রানের। তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছিল রানের চাকা। ফেলুকায়োর বল তামিমের ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটকিপার কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে জমা নিলে তামিমের ২৯ বলে ২ চারে ১৬ রানের ইনিংস শেষ হয়। সৌম্যর সঙ্গী হন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
১২ ওভারের মধ্যে চার বোলার ব্যবহার করে ফেলেছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। যার একটিই কারণ- সৌম্য সরকারের রুদ্ররূপ। ক্রিস মরিসের বলে মিস টাইমিং করে উইকেটকিপার কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে ক্যাচ দেন ৩০ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৪২ রান করা সৌম্য। দলের হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ তারকা সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম।