টেকনাফ (কক্সবাজার): কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির পৃথক অভিযানে এক রোহিঙ্গাসহ দুই ইয়াবা পাচারকারী নিহত হয়েছেন। এ সময় ৬ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা ও দুইটি কিরিচ জব্দ করা হয়। আজ ভোর রাতে আড়াই ঘন্টার ব্যবধানে নাফ নদী সংলগ্ন কে কে খাল ও দমদমিয়ার নাফ নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন, মিয়ানমারের মংডু নাফপুরা এলাকার সুলতান আহম্মদের ছেলে মো. আবদুল গফুর (৪০) ও টেকনাফ কেরুনতলী এলাকার মৃত শরিফের ছেলে মো. সাদেক (২৩)। এ ঘটনায় বিজিবির টহল দলের সিপাহী মো. আল ইমরান ও আবদুুল আউয়াল আহত হয়।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান পিএসসি জানান, ভোর রাত তিনটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাফ নদী পার হয়ে কে কে খাল এলাকা দিয়ে একটি বড় চালান মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির একটি টহলদল পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকে। এ সময় নৌকাটি খালের মুখে আসলেই বিজিবি বাঁধা দিলে পাচারকারীরা বিজিবির ওপর গুলি বর্ষণ করতে থাকে। বিজিবিও আতœরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।
৪ থেকে ৫ মিনিট উভয়পক্ষে গুলি বিনিময় হলে পাচারকারীরা পিছু হটে।
পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করলে কাঁদার মধ্যে দুই ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের শরীরে ৫০ হাজার করে ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল হতে ২টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার হয়।
সিও আরও জানান, স্থানীয়দের মারফত তাদের নিহতদের পরিচয় মিলে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে রাত ১২ টার দিকে সিও’র নেতৃত্বে দমদমিয়া নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে ৫ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।
সিও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাফ নদীতে তার নেতৃত্বে অবস্থান নেয়। এ সময় একদল পাচারকারী মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকাটি ডুবিয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে নৌকাটি তল্লাশি করে ৫ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। উদ্ধার হওয়া এসব ট্যাবলেট সদর ব্যাটালিয়নে জমা রাখা হয়েছে। যা পরবর্তী উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতি ধ্বংস করা হবে বলে জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক।