কালীগঞ্জ(গাজীপুর) প্রতিনিধি: আনন্দ টিভির কালীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মো. খোরশেদ আলম খানের ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ক্যামেরা, মোবাইল ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নিয়েছে। উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের আজমতপুর বিশ্বরোড এলাকায় শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিক খোরশেদকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কালীগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
স্থায়ী সূত্রে জানা যায়, কাপাসিয়া থানার তিনশনিয়া গ্রামের বাসিন্দা জাবেক হোসেনের ছেলে আরিফ হোসেন জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের আজমতপুর বিশ্বরোড এলাকায় তেলের ব্যবসা করেন। তার মা আনসার বাহিনীতে চাকরি দেয়ার কথা বলে একই এলাকার লিটন দাসের পরিবারের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা নেয়। লিটন দাস ওই আজমতপুর বিশ্বরোডে সেলুনের দোকান চালায়। বৃহস্পতিবার আরিফের নিকট লিটন দাস তাদের পাওনা টাকা চায়। এ সময় আরিফ উত্তেজিত হয়ে লিটনকে মারধর করে। স্থায়ী জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি সুরাহ করার উদ্দেশে শুক্রবার বিকেলে সালিশ বৈঠকের দিন ধার্য করেন। শুক্রবার বিকেলে লিটন দাসকে মারধর করার অপরাধে আরিফকে ক্ষমা চাওয়ায় সালিশ বৈঠকদাররা। কিন্তু পাওনা টাকার বিষয়টি কোনো ধরনের সুরাহা না করে সালিশ বৈঠক শেষ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ফারুক খান। তখন সালিশে উপস্থিত সাংবাদিক খোরশেদ পাওনা টাকার বিষয় কেন ফয়সালা করা হয়নি তা মেম্বারের নিকট জানতে চায়। এ সময় মেম্বারের উসকানিতে তার চাচাতো ভাই মো. খোরশেদ সাংবাদিক খোরশেদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাস করতে থাকে। এক পর্যায় তার সহযোগীদের নিয়ে সাংবাদিক খোরশেদের ওপর হামলা চালায়। তার সাথে থাকা ক্যামেরা, মোবাইল ও নগদ অর্থ হামলাকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আহত সাংবাদিক খোরশেদ আলম খান বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ফারুক খানের উপস্থিতিতে তার আপন চাচাতো ভাই খোরশেদ তাদের কয়েকজন সহযোগীদের নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তার ক্যামেরা, মোবাইল ও নগদ অর্থ হামলাকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলাকারী আজমতপুর গ্রামের ওয়াজউদ্দিনের ছেলে খোরশেদ এলাকায় চিহিৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী। সালিশ বৈঠকে লিটন দাসের পাওনা টাকার কোনো ফয়সালা না করার কারণ জানতে চাইলে মেম্বারের উসকানিতে তার ভাই লোকজন নিয়ে হামলা চালায়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আবু বকর মিয়া বলেন, যারা সাংবাদিক খোরশেদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তাদের শিগগির গ্রেফতার করা হবে।