রাজশাহীর তানোরে শাশুড়িকে হত্যা করে বাড়ির আঙিনায় পুঁতে রাখার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন সেই পুত্রবধূ।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন সেই পুত্রবধূ। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহীর তানোর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবদুল হালিম ভুট্টু বাদী হয়ে আটক পুত্রবধূ সখিনা বেগমকে (২২) একমাত্র আসামি করে তানোর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন সখিনা বেগম। এ সময় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল মাহমুদ আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে বুধবার রাজশাহীর তানোরে শ্বাশুড়িকে হত্যা করে বাড়ির আঙিনায় পুঁতে রাখেন পুত্রবধূ সখিনা বেগম। ঘটনা জানাজানি হলে প্রতিবেশীরা অভিযুক্ত পুত্রবধূকে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। সন্ধ্যায় পুলিশ গিয়ে মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করে। তানোর উপজেলার প্রকাশনগর আদর্শ গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মোমেনা বেগম (৪৫)। তিনি ওই গ্রামের রমজান আলীর স্ত্রী। আটক পুত্রবধূর নাম সখিনা বেগম (২২)। তিনি মোমেনা বেগমের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী।
রাজশাহীর তানোর থানার পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ওই বাড়িতে মোমেনা বেগম ও তার ছোট ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী সখিনা থাকতেন। মোমেনা বেগমের ছোট ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ধান কাটার কাজে খুলনায় অবস্থান করছেন। তিনি এখনও রাজশাহী এসে পৌঁছাননি।
তিনি বলেন, আটক পুত্রবধূ সখিনা বেগম নিজেই শাশুড়িকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, সকালে বাড়িতে ধান শুকানোর সময় মুরগি এসে ধান খায়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্বাশুড়ি মোমেনা বেগম তাকে মারধর করেন। দুপুরে শাশুড়ি ঘুমিয়ে পড়লে ওই সময় বাঁশ দিয়ে শাশুড়ির মাথায় আঘাত করেন। এতেই মোমেনা বেগম মারা যান। এরপর বাড়ির আঙিনায় বড় চুলার নিচে গর্ত করে মোমেনাকে মাটি চাপা দেন পুত্রবধূ সখিনা বেগম।
বুধবার রাতেই মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।